• facebook
  • twitter
Friday, 5 December, 2025

বাংলাদেশের দাবি করা ‘অত্যাশ্চর্য’ ওষুধটি কি সত্যিই করােনা সারাচ্ছে ! খুঁটিয়ে পরীক্ষা চালাবে আইসিএমআর

অত্যন্ত সাধারণ ওষুধের প্রয়োগে করোনা রোগীদের সুস্থ করে তোলার দাবি করেছেন বাংলাদেশের চিকিৎসকরা।

প্রতিকি ছবি (Photo: iStock)

অত্যন্ত সাধারণ ওষুধের প্রয়োগে করোনা রোগীদের সুস্থ করে তোলার দাবি করেছেন বাংলাদেশের চিকিৎসকরা। সারা বিশ্ব যখন করোনার ওষুধ আবিষ্কারের জন্য প্রাণপণ খাটছে, সেখানে বাংলাদেশ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের চেস্ট স্পেশ্যালিস্ট অধ্যাপক ডক্টর তারেক আলম ও তাঁর টিম জানিয়েছিল, ডক্সিসাইক্লিন ও আইভারমেকটিন প্রয়োগে সেরে যাচ্ছেন করোনা রোগীরা।

এই দাবি কতটা সত্য, তা এবার খতিয়ে দেখার জন্য পরীক্ষা শুরু করছে এ দেশের গবেষণা সংস্থা আইসিএমআর।

Advertisement

আইসিএমআর-এর সিনিয়র সায়েন্টিস্ট নিবেদিতা গুপ্ত বলেন, আমরা খুব ভাল করে খুঁটিয়ে দেখছি ওষুধটির সবরকম দিক। কী কী ভাবে এটি কোভিডের বিরুদ্ধে কার্যকরী, তা বোঝার জন্য আরও ভাল করে দেখতে পরীক্ষা করতে হবে।

Advertisement

আইভারমেকটিন আদতে আমেরিকা অনুমোদিত একটি অ্যান্টি প্যারাসাইট ড্রাগ। ডক্সিসাইক্লিন হল একরকম অ্যান্টিবায়োটিক। এই দুইয়ের মিশেলেই অত্যাশ্চর্য সাড়া পাওয়া গেছে বলে দাবি বাংলাদেশের চিকিৎসকদের।

বাংলাদেশ মেডিক্যাল কলেজ হসপিটালের প্রফেসর ডক্টর মুহম্মদ তারেকে আলমের দাবি, এই ওষুধটি খাওয়ার তিন দিনের মধ্যেই রোগীদের ৫০ শতাংশ উপসর্গ কমেছে। আক্রান্ত হওয়ার চারদিন পর নমুনা পরীক্ষায় এসেছে নেগেটিভ। আর ৮ থেকে ১০ দিনের মধ্যে ৪৫ জনের দ্বিতীয় পরীক্ষাও নেগেটিভ আসে। এর পরেই আইসিএমআর বিষয়টি পরীক্ষা করে দেখবে বলে মনস্থির করে।

নিবেদিতা আরও বলেন, আমরা জানার চেষ্টা করছি, কোভিডের রোগীদের শরীরে ঠিক কীভাবে কাজ করবে এই ড্রাগ। আমরা দৃঢ় কোনও তথ্যপ্রমাণের অপেক্ষায় রয়েছি। মহম্মদ তারেক আলম বলেন, এই ওষুধে অ্যান্টিভাইরাল প্রপার্টি আছে।

সার্স মহামারির সময় এটি ব্যবহার করা হয়েছিল। ডেঙ্গুতেও একইরকম উপকারী। তাছাড়া এই দুটি ওষুধের কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। তাই যে করোনা আক্রান্ত হোম আইসোলেশনে রয়েছেন কিংবা হাসপাতালের কোভিড ওয়ার্ডে ভর্তি, তাঁদের উপর প্রাথমিকভাবে এই ওষুধ প্রয়োগ করতে দেখার পরামর্শ দিচ্ছেন তিনি।

Advertisement