বিহারে সমান সংখ্যক আসনে লড়বে বিজেপি এবং নীতীশের জেডিইউ। দুই দলই ১০১টি বিধানসভা আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে বলে খবর। ২৯টি আসনে লড়বে প্রয়াত রামবিলাস পাসোয়ানের পুত্র চিরাগ পাসওয়ানের দল এলজেপি। ছ’টি আসনে লড়বে জিতনরাম মাঝির হিন্দুস্থানি আওয়াম মোর্চা এবং উপেন্দ্র কুশওয়াহার রাষ্ট্রীয় লোক মোর্চা।
রবিবার সন্ধ্যায় আসন সমঝোতার কথা ঘোষণা করা হয়। বিহারে ভোট পরিচালনার দায়িত্বে থাকা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান আনুষ্ঠানিকভাবে আসন সমঝোতার কথা জানান। বিহারে ফের এনডিএ সরকার ক্ষমতায় আসতে চলেছে বলে দাবিও করেন তিনি।
Advertisement
আসন সমঝোতা চূড়ান্ত হওয়ার পরেই সমাজমাধ্যমে একটি পোস্ট করে জেডিইউ-র কার্যকরী সভাপতি সঞ্জয়কুমার ঝা। পোস্টে তিনি লেখেন, ‘এনডিএ শিবিরভুক্ত সব দলের কর্মী এবং সমর্থকেরা আনন্দের সঙ্গে এই সমঝোতাকে স্বাগত জানাচ্ছে। নীতীশ কুমারকে আরও এক বার মুখ্যমন্ত্রী করার জন্য জোট বাঁধা হচ্ছে।‘
Advertisement
তবে বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’র আসন সমঝোতা এখনও চূড়ান্ত হয়নি। এই জোটে রয়েছে লালুপ্রসাদ যাদবের আরজেডি, কংগ্রেস এবং বাম দলগুলি। বিহারে যা ‘মহাগঠবন্ধন’ নামে পরিচিত। ২০২০ সালের বিধানসভা নির্বাচনে ১১৫টি আসনে প্রার্থী দিয়েছিল নীতীশের দল জেডিইউ।
বিজেপি লড়াই করেছিল ১১০টি আসনে। জিতনরামের হাম লড়াই করেছিল সাতটি আসনে। আর চিরাগের দল অবিভক্ত এলজেপি একক ভাবে লড়াই করেছিল ১৩৫টি আসনে। জেডিইউ-র বিরুদ্ধে প্রার্থী দিয়েছিল এলজেপি। ২০২০ সালে এনডিএ শিবিরে ছিল বিকাশশীল ইনসান পার্টি ভিআইপি। তারা লড়াই করেছিল ১১টি আসনে।
শনিবার পাটনায় শরিক দলগুলির সঙ্গে আলোচনা বসেছিল বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব। প্রতিটি দলের সঙ্গে আলোচনা করেন গেরুয়া শিবিরের নেতারা। চিরাগের সঙ্গেও আলাদা করে কথা বলেন তাঁরা। এনডিএ সূত্রে খবর, শনিবারই স্থির হয় বিজেপি এবং জেডিইউ সমান সংখ্যক আসনে লড়াই করবে।
উল্লেখ্য, এবারের বিহারে বিধানসভা নির্বাচন দু’দফায় হচ্ছে। প্রথম দফার নির্বাচন হবে ৬ নভেম্বর। ওই দফায় ১২১টি বিধানসভা কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ হবে। ১০-১৭ অক্টোবর পর্যন্ত মনোনয়ন জমার পর তা পরীক্ষা হবে ১৮ অক্টোবর। প্রথম দফার ভোটের প্রার্থীরা নাম প্রত্যাহার করতে পারবেন ২০ অক্টোবর পর্যন্ত। ১১ নভেম্বর দ্বিতীয় দফায় মোট ১২২টি আসনে ভোটগ্রহণ হবে। ওই দফার গেজেট বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হবে ১৩ অক্টোবর। ২০ অক্টোবর পর্যন্ত মনোনয়ন জমা করা যাবে। ২৩ অক্টোবর পর্যন্ত প্রার্থীরা চাইলে নাম তুলে নিতে পারবেন। ভোটের ফলপ্রকাশ হবে ১৪ নভেম্বর।
Advertisement



