• facebook
  • twitter
Friday, 5 December, 2025

সমাজ পরিবর্তনের স্বপ্ন নিয়ে বিহারের রাজনীতিতে মৈথিলী ঠাকুরের প্রবেশের সম্ভাবনা

বিহারের ভবিষ্যত নিয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করে তিনি বলেন, ‘আগামী পাঁচ বছর রাজ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার যা করেছেন, তার জন্য আমরা কৃতজ্ঞ।’

প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র

বিহারের রাজনীতিতে গায়িকা মৈথিলী ঠাকুরের প্রবেশের সম্ভাবনা নতুন করে জল্পনা বাড়িয়েছে। দীর্ঘদিন ধরেই তাঁর নাম আসছে আগামী বিধানসভা নির্বাচনে প্রার্থী হিসেবে। যদিও মৈথিলী এখনও তা নিশ্চিত করেননি। তবে বাবার মন্তব্য এবং নিজের প্রকাশ্যে বক্তব্য রাজনৈতিক মহলে আলোড়ন তুলেছে।

মৈথিলী ঠাকুর এক সাংবাদিক বৈঠকে বলেন, ‘আমি সংবাদে যে আলোচনা দেখছি, তাতে আমি উৎসাহিত হয়েছি। তবে এখনও অফিসিয়ালি ঘোষণার অপেক্ষায় আছি। আমি চাই আমার গ্রামে ফিরে যাই। কিন্তু যদি আমার নিজের এলাকার মানুষের সেবা করার সুযোগ পাই, সেটাই আমার জীবনের সবচেয়ে বড় সাফল্য হবে।’

Advertisement

তিনি রাজনীতির উদ্দেশ্য স্পষ্ট করে বলেন, ‘আমি রাজনীতি করতে আসিনি। আমার লক্ষ্য সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন আনা।’ বিহারের ভবিষ্যত নিয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করে তিনি বলেন, ‘আগামী পাঁচ বছর রাজ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার যা করেছেন, তার জন্য আমরা কৃতজ্ঞ।’

Advertisement

রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা মনে করছেন, মৈথিলী যদি নির্বাচনে অংশ নেন, তবে তিনি হতে পারেন নতুন প্রজন্মের এক নেত্রী, যিনি সংস্কৃতি ও সমাজসেবাকে রাজনীতির প্রধান ধারা হিসেবে স্থাপন করবেন।

মৈথিলীর বাবা রমেশ ঠাকুর বলেছেন, ‘আমরা বিহারের আদি বাসিন্দাদের মধ্যে একজন। রাজ্য ছাড়ার একমাত্র কারণ ছিল জাতপাতের উন্মাদনা। আমি ১৯৯৫ সালে বিহার ছেড়েছি। আজ প্রায় ৩০ বছর ধরে বাইরে আছি।’ তিনি আরও যোগ করেন, ‘বিহারে সব কিছুই ঠিকঠাক চলছিল। কিন্তু লালু প্রসাদ যাদব ক্ষমতায় আসার পর থেকেই সমস্যা শুরু হয়। তখন থেকেই ব্রাহ্মণ সমাজের উপর হামলা শুরু হয়।’

তাঁর দাবি, ‘যাঁরা বিহার থেকে কাজের সন্ধানে বা নিরাপত্তার কারণে বাইরে চলে গিয়েছেন, তাঁদের নিয়ে কেউই ভাবে না। এখন সময় এসেছে তাঁদের ফেরার। বিহারের উন্নয়নে বাইরে থাকা মানুষদের এগিয়ে আসা উচিত।’

রমেশ ঠাকুর আরও বলেন, ‘বর্তমানে এনডিএ সরকার ক্ষমতায় আসার পর পরিস্থিতির অনেক উন্নতি হয়েছে। প্রশাসনিক কাজ থেকে শুরু করে সামাজিক স্থিতিশীলতা, সব ক্ষেত্রেই পরিবর্তন এসেছে।’

রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, রমেশ ঠাকুরের এই মন্তব্য শুধু সামাজিক নয়, রাজনৈতিক বার্তাও বহন করছে। ফলে মৈথিলী ঠাকুরের নির্বাচনে যোগদানের সম্ভাবনা নিয়ে এখন বিহারের রাজনীতিতে চর্চা তুঙ্গে।

Advertisement