• facebook
  • twitter
Saturday, 6 December, 2025

ডোমজুড় ও আন্দুলে তিন জায়গায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড, তদন্তে দমকল

একের পর এক আগুনে আতঙ্ক হাওড়ায়

প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র

হাওড়া জেলায় শনিবার সকাল থেকে রাত পর্যন্ত একাধিক জায়গায় আগুন লাগার ফলে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। ডোমজুড়ের পাকুড়িয়া, রাজাপুর এবং আন্দুল— এই তিনটি পৃথক এলাকায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় আতঙ্ক ছড়াল সাধারণ মানুষের মধ্যে। দ্রুত তৎপরতায় দমকল আগুন নিয়ন্ত্রণে আনলেও ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে ব্যাপক।

প্রথম ঘটনাটি ঘটে শনিবার সকালে। ডোমজুড়ের পাকুড়িয়া বাসস্ট্যান্ডের পাশে। স্থানীয়দের অভিযোগ, জঞ্জালের স্তূপ থেকে হঠাৎ করেই দাউদাউ করে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। মুহূর্তের মধ্যে ঘন ধোঁয়ায় ঢেকে যায় গোটা এলাকা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায় দমকলের তিনটি ইঞ্জিন। প্রায় ঘণ্টাখানেকের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। দমকলের প্রাথমিক অনুমান, রাসায়নিক বর্জ্যের বিক্রিয়া থেকেই আগুন ছড়িয়ে পড়তে পারে। যদিও সেই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার তদন্ত চলছে।

Advertisement

কিন্তু এই ঘটনার কিছুক্ষণের মধ্যেই ফের ডোমজুড়ের রাজাপুরে থার্মোকল তৈরির এক কারখানায় ঘটে আরও এক ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা। কাজ চলার সময়ই আচমকা আগুন দেখা দেয়। তৎক্ষণাৎ আতঙ্ক ছড়াল শ্রমিকদের মধ্যে। তবে কারখানার নিজস্ব অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা থাকায় দ্রুত আগুন নেভানো সম্ভব হয়। পাশাপাশি দমকলের একটি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে আনে। দমকলের প্রাথমিক ধারণা, শর্ট সার্কিট থেকেই আগুনের সূত্রপাত। সৌভাগ্যক্রমে কেউ হতাহত হয়নি।

Advertisement

অন্যদিকে, শুক্রবার গভীর রাতে হাওড়ার আন্দুলের পাঁচপাড়া নিমতলা এলাকায় ঘটে ভয়াবহ বিস্ফোরণের মতো অগ্নিকাণ্ড। একটি ই-বাইকের শোরুমে হঠাৎই আগুন লেগে তা মুহূর্তে চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। দমকলের একাধিক ইঞ্জিন যুদ্ধকালীন তৎপরতায় আগুন নেভানোর কাজ শুরু করে। প্রায় ঘণ্টাখানেকের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। ততক্ষণে শোরুমে থাকা ৫০টিরও বেশি ই-বাইক সম্পূর্ণভাবে ভস্মীভূত হয়ে যায়। আনুমানিক লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

দমকলের এক আধিকারিকের কথায়, ‘সব ক’টি ঘটনার প্রকৃতি আলাদা হলেও, শর্ট সার্কিট এবং রাসায়নিক বিক্রিয়ার সম্ভাবনাকে উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। প্রতিটি ক্ষেত্রেই বিস্তারিত তদন্ত চলছে।’

হাওড়ায় একের পর এক অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় আতঙ্ক ছড়াল স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে। তাঁদের দাবি, দমকলের পাশাপাশি পুর প্রশাসনেরও উচিত নিয়মিত নজরদারি এবং বর্জ্য ব্যবস্থাপনার উপর আরও জোর দেওয়া, যাতে এমন দুর্ঘটনা ভবিষ্যতে রোধ করা যায়।

Advertisement