রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের আগে শেষ দুর্গোৎসব। এই আবহে অষ্টমী-নবমীর বিকালে অন্য মেজাজে ধরা দিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তথা সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। অষ্টমীর দুপুরে নাগেরবাজারের জপুর জয়শ্রী দুর্গাপুজো এবং বাগুইহাটির অশ্বিনীনগর বন্ধু মহল দুর্গাপুজো পরিদর্শন করেছিলেন অভিষেক। নবমীর বিকালে গিয়েছিলেন চালতাবাগান, যোধপুর পার্ক ৯৫ পল্লী এবং ত্রিধারাতে। দু’দিনই তাঁর সঙ্গী হয়েছিল কন্যা আজানিয়া বন্দোপাধ্যায়।
উল্লেখ্য, এই মণ্ডপগুলির অধিকাংশ নির্মিত হয়েছিল বাংলা-বাঙালি থিমে। জয়শ্রী থেকে চালতাবাগানের পুজোতে উপস্থিত হয়ে রবীন্দ্রনাথ, রামমোহন-সহ বাংলার মনীষীদের ফুল নিবেদন করে শ্রদ্ধাঞ্জলি দিয়েছিলেন অভিষেক। অষ্টমীতে জয়শ্রী ক্লাব থেকে বেরোতেই বাইরে দাঁড়িয়েছিলেন প্রায় ১১ জন পরিযায়ী শ্রমিক। এদিন তাদের সঙ্গে কথা বলে অভিষেকের আশ্বাস বার্তা, ‘আমার যোগাযোগ নম্বর রাখুন। যেকোনো প্রয়োজনে আমাকে ফোন করবেন। রাজ্য সরকার আপনাদের পাশে রয়েছে। সমস্ত সরকারি প্রকল্পের সুবিধা আপনারা পাবেন।’ পাশাপাশি কন্যাকে পাশে নিয়েই অভিষেক ফুচকাও খান এদিন পরিযায়ী শ্রমিকদের সঙ্গে।
নবমীর দুপুরের পর আকাশ কালো করে ঝেঁপে বৃষ্টি নামে শহর কলকাতায়। দুর্যোগ কেটে গেলে চালতাবাগানের পুজো মণ্ডপে পৌঁছন সাংসদ। দুর্গাপ্রতিমা দর্শন করেন। শিল্পী মণ্ডপের থিম অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে বুঝিয়ে বলেন। বাংলা ভাষার বিবর্তন, বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস, বাংলা ভাষা আন্দোলনকে এই মণ্ডপ তৈরির ভাবনায় জায়গা দেওয়া হয়েছিল। এরপর যোধপুর পার্কের পুজোতে উপস্থিত হয়ে কচিকাঁচাদের সঙ্গে শারদীয়ার শুভেচ্ছা বিনিময় করেন অভিষেক।
সামগ্রিকভাবে দেখতে গেলে, অষ্টমী-নবমীতে কন্যাকে নিয়ে অভিষেকের প্যান্ডেল হপিং কেবল সাংস্কৃতিক নয়, রাজনৈতিকও। নির্বাচনের আগে তাঁর বেছে বেছে বাংলা-বাঙালি ইস্যুতে নির্মিত মণ্ডপ পরিদর্শন এক গভীর রাজনৈতিক বার্তাই দিচ্ছে। অষ্টমীতে জয়শ্রী ক্লাবে উপস্থিত ছিলেন সাংসদ সৌগত রায়, পার্থ ভৌমিক, বিধায়ক অদিতি মুন্সী, তাপস চট্টোপাধ্যায়, বিধানসভায় দলের মুখ্যসচেতক নির্মল ঘোষ, দমদম-ব্যারাকপুর তৃণমূল সাংগঠনিক জেলা যুব সভাপতি দেবরাজ চক্রবর্তী, দেগঙ্গা পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি আনিসুর রহমান ওরফে বিদেশ-সহ প্রমুখ। নবমীতে অভিষেকের সঙ্গী ছিলেন বিধায়ক দেবাশীষ কুমার, যুবনেত্রী শ্রেয়া পান্ডে, অভিষেকের ছায়া সঙ্গী সুমিত রায়।
Advertisement