রাজনৈতিক তরজাতেও এআই-এর প্রয়োগ। বিহারবাসীকে দশেরার শুভেচ্ছাবার্তা দিতে কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তার তৈরি ভিডিও প্রকাশ করেছে মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের দল। এই ঘটনার জেরে ভোটের আগে নতুন করে বিতর্ক তৈরি হয়েছে বিহারের রাজনীতিতে। জেডিইউ-র ওই এআই ভিডিওটিতে বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা আরজেডি-র প্রতিষ্ঠাতা লালুপ্রসাদকে রাবণ সাজানো হয়েছে। রাবণের মতোই লালুপ্রসাদের ১০টি মাথা। প্রতিটি মাথার উপরে লেখা ‘অপরাধ, লুট, ভ্রষ্টাচার, ছিনতাই, রংদারী, জাতি হিংসা, হত্যা, অপহরণ, বলাৎকার’। ভিডিওতে দাবি করা হয়েছে, আরজেডির শাসনকালে এগুলিই বিহারের বৈশিষ্ট্য হয়ে দাঁড়িয়েছিল। ‘জঙ্গলরাজ’ কায়েম হয়েছিল।
এআই-সৃষ্ট ওই ভিডিওটিতে বিহারের মানুষকে দেখানো হয়েছে তির-ধনুক হাতে রামের ভূমিকায়। আরজেডি-র দাবি, আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে লালুর দলকে বধ করবে বিহারবাসী। আগামী সপ্তাহেই ঘোষণা করা হতে পারে বিহারের বিধানসভা ভোট। আরজেডির দাবি, জেডিইউ বিহারে পরিকল্পিতভাবে এই ধরণের উদ্দেশ্যমূলক প্রচার শুরু করেছে ।
Advertisement
প্রসঙ্গত, এর আগে প্রধানমন্ত্রী মোদী ও তাঁর মাকে নিয়ে পোস্টার বানিয়ে সমালোচনার ঝড় ওঠে। যেখানে পোস্টারে দেবী দুর্গা রূপে মোদীর প্রয়াত মা হীরাবেন, সিংহ রূপে মোদী এবং অসুর রূপে বিভিন্ন বিরোধী দলের নেতাকে দেখা যায়। মোদীর প্রয়াত মা হীরাবেনকে দেবী দুর্গা এবং প্রধানমন্ত্রীকে তাঁর পায়ের তলায় সিংহ হিসেবে দেখানো হয় পোস্টারে। পাশপাশি সমাজবাদী পার্টির প্রধান অখিলেশ যাদব, কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী এবং আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদবকে অসুর হিসেবেও দেখানো হয়েছে। পোস্টার নিয়ে কংগ্রেসের বক্তব্য ছিল, পোস্টারটি ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত করছে। হিন্দু দেব-দেবীর ছবি এ ভাবে রাজনৈতিক কারণে ব্যবহারের কৌশল বিজেপির নিচু মানসিকতার পরিচয় দেয়।নির্বাচনের আগে একের পর এক বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে সেই বিহার।
Advertisement
Advertisement



