কর্তব্যরত অবস্থায় মদ্যপান পুলিশ কর্মীর। দশমীর রাতে মদ্যপ হয়ে ডিউটি করার অভিযোগ ট্রাফিক ইন্সপেক্টর রাজেশ মণ্ডলের বিরুদ্ধে। হুগলির শ্রীরামপুরের ঘটনা। ওই ট্রাফিক ইন্সপেক্টর ঠিক করে দাঁড়াতেও পারছিলেন না। সেই অবস্থায় ডিউটি করছিলেন বলে অভিযোগ। বেসামাল অবস্থায় ওই পুলিশ কর্মীর ভিডিও সমাজমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। শুক্রবার রাতের এই ঘটনাটির জন্য ওই ট্রাফিক পুলিশকে ক্লোজ করা হয়েছে বলে খবর।
জানা গিয়েছে, দশমীর রাতে মত্ত অবস্থায় শ্রীরামপুরের বটতলায় ডিউটি করছিলেন রাজেশ মণ্ডল। কর্তব্যরত অবস্থাতেই ওই পুলিশ আধিকারিককে বেসামাল হতে লক্ষ্য করেন তাঁর সহকর্মীরা। স্থানীয় বাসিন্দাদেরও নজরে আসে বিষয়টি। ওই পুলিশ কর্মীকে মারধর করার চেষ্টা হয় বলে অভিযোগ। সহকর্মীদের প্রচেষ্টায় বেঁচে যান ওই পুলিশ কর্মী। তারপর তাঁকে অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়।
Advertisement
ওই পুলিশ কর্মীকে ইতিমধ্যে ক্লোজ করা হয়েছে। ট্রাফিক গার্ড থেকে তাঁকে সরিয়েও দেওয়া হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। ঘটনার তদন্তের কথা জানিয়েছেন, চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেটের এক আধিকারিক।
Advertisement
এসএফআই হুগলি জেলা কমিটির সম্পাদক অর্ণব দাস এ প্রসঙ্গে বলেছেন, ‘যাঁরা আইনের রক্ষক, তাঁরাই আইন ভাঙছেন। পুলিশের উর্দি পরে মত্ত অবস্থায় ডিউটি করছেন। এর তীব্র ধিক্কার জানাচ্ছি। সমাজটা কোথায় যাচ্ছে!’ বিজেপি রাজ্য কমিটির সদস্য স্বপন পাল বলেন, ‘শ্রীরামপুরের একজন ট্রাফিক পুলিশ আধিকারিক মত্ত অবস্থায় ডিউটি করছিলেন। এটা পুলিশ প্রশাসনের দেখা উচিত। বিশেষ করে ওই পুলিশ অফিসারের কাউন্সেলিং দরকার।’
তৃণমূল যুব কংগ্রেসের হুগলি শ্রীরামপুর সাংগঠনিক জেলা সভানেত্রী প্রিয়াঙ্কা অধিকারী বলেন, ‘এত বড় একটা উৎসব পুলিশের জন্যই এত সুন্দরভাবে হয়েছে। কোনও মানুষকে অসুবিধায় পড়তে হয়নি। পুলিশ নিরাপত্তা দিয়েছে। একজন পুলিশ কর্মীর জন্য গোটা পুলিশের বদনাম ঠিক নয়।‘ আইন নিজের হাতে তুলে না নেওয়ার পাশাপাশি পুলিশের উপর ভরসা রাখতে বলেন প্রিয়াঙ্কা অধিকারী।
Advertisement



