রাষ্ট্রসঙ্ঘের সাধারণ সভায় নিউ ইয়র্কে শনিবার রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ জানিয়েছেন, বছরের শেষার্ধে ভারত সফরে যাবেন রাশিয়ার রাষ্ট্রপতি ভ্লাদিমির পুতিন। এই সফরকে কেন্দ্র করে মস্কো ও দিল্লির মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে আরও গভীর করার প্রস্তুতি চলছে।
ল্যাভরভ সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, ‘ডিসেম্বরে রাষ্ট্রপতি পুতিনের দিল্লি সফরের সম্ভাবনা রয়েছে। এই সফরে দুই দেশের বহুমুখী দ্বিপাক্ষিক বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে। বাণিজ্য, সামরিক ও প্রযুক্তিগত সহযোগিতা, অর্থনীতি, মানবিক কার্যক্রম, স্বাস্থ্যসেবা, উচ্চ প্রযুক্তি, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, এবং আন্তর্জাতিক মঞ্চে ঘনিষ্ঠ সমন্বয়, বিশেষ করে এসসিও ও ব্রিকস নিয়েও।’
Advertisement
ল্যাভরভ জানিয়েছেন, ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর চলতি বছরের মধ্যেই রাশিয়া সফর করবেন, এবং তিনি নিজেও ভারতের সফর করবেন। তিনি বলেন, ‘আমরা নিয়মিত উচ্চ পর্যায়ের আলোচনায় অংশ নিই।’
Advertisement
ল্যাভরভ যুক্তরাষ্ট্রের চাপের মধ্যে ভারতীয় তেল আমদানির বিষয়ে বলেন, ‘আমরা ভারতের সিদ্ধান্তে হস্তক্ষেপ করি না। তারা নিজেরাই সিদ্ধান্ত নিতে সক্ষম।’ তিনি ভারতের স্বাধীন নীতি এবং রাশিয়ার প্রতি তার শ্রদ্ধার কথা উল্লেখ করেছেন।
জয়শঙ্করের বক্তব্যের উল্লেখ করে ল্যাভরভ বলেন, ‘যদি যুক্তরাষ্ট্র আমাদের কাছে তেল বিক্রি করতে চায়, আমরা শর্ত সাপেক্ষে আলোচনা করতে প্রস্তুত। কিন্তু রাশিয়া বা অন্য দেশ থেকে আমরা যা কিনি, তা আমাদের নিজের বিষয়।’ তিনি এটিকে “ভারতের স্বনির্ভরতার” প্রমাণ হিসেবে অভিহিত করেন।
ল্যাভরভ পুনরায় বলেছেন, ভারত-রাশিয়া সম্পর্ক “বিশেষভাবে সম্মানিত কৌশলগত অংশীদারিত্ব” দ্বারা সংজ্ঞায়িত। তিনি ভারতের রাষ্ট্রসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্যপদের দাবিকে সমর্থন জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘রাশিয়া ব্রাজিল ও ভারতের স্থায়ী সদস্যপদের দাবিকে সমর্থন করে এবং নিরাপত্তা পরিষদের সংস্কারের প্রয়োজন।’
ল্যাভরভের মন্তব্য উঠে এসেছে, এমন এক সময়ে যখন ভারতের ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে উত্তেজনা বাড়ছে। যুক্তরাষ্ট্র চাপ দিচ্ছে ভারতকে রাশিয়ার তেলের উপর নির্ভরতা কমাতে। এই পরিস্থিতিতে ল্যাভরভের বক্তব্য, ভারতের স্বাধীন নীতি ও দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের গুরুত্বকে আরও মজবুত করছে।
Advertisement



