মার্কিন প্রশাসনের লাগাতার আক্রমণ সত্ত্বেও এ বার আমেরিকার মাটিতেই বৈঠকে বসলেন ব্রিক্স গোষ্ঠীর বিদেশমন্ত্রীরা। রাষ্ট্রসঙ্ঘের সাধারণ সভার ৮০তম অধিবেশন চলাকালীন নিউ ইয়র্কে এই বৈঠক হয়। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করও।
বৈঠকে জয়শঙ্কর সরাসরি শুল্ক-সংঘাতের প্রসঙ্গ তোলেন। তাঁর বক্তব্য অনুযায়ী, শুল্কের অস্থিরতা এবং এর বাইরেও নানা ধরনের প্রতিবন্ধকতা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। তাই বহুপাক্ষিক বাণিজ্য ব্যবস্থাকে টিকিয়ে রাখতে ব্রিক্স দেশগুলির আরও জোরালো ভূমিকা নেওয়া জরুরি। তিনি বার্তা দেন, বিশ্বব্যাপী অস্থিরতার মধ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠা, আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান এবং আন্তর্জাতিক আইন মেনে চলার ক্ষেত্রে ব্রিক্সকেই শক্তিশালী কণ্ঠস্বর হতে হবে।
Advertisement
উল্লেখ্য, ব্রিক্স গোষ্ঠীতে ভারত, রাশিয়া, ব্রাজিল, চিন এবং দক্ষিণ আফ্রিকা রয়েছে। এই দেশগুলির মধ্যে ব্রাজিলের উপর আগেই ৫০ শতাংশ শুল্ক চাপিয়েছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। শুধু তাই নয়, বিভিন্ন সময়ে ব্রিক্সকে সরাসরি নিশানা করেছেন ট্রাম্প ও তাঁর প্রশাসনের শীর্ষ আধিকারিকরা। ব্রাজিলে আয়োজিত পূর্ববর্তী ব্রিক্স সম্মেলনেও ট্রাম্প এই গোষ্ঠীটিকে ‘আমেরিকাবিরোধী’ বলে কটাক্ষ করেছিলেন। এমনকি ব্রিক্সকে ‘ভ্যাম্পায়ার’ বলে কটাক্ষ করেছিলেন মার্কিন বাণিজ্য উপদেষ্টা পিটার নাভারো। তাঁর দাবি ছিল, ব্রিক্স সদস্যরা আমেরিকার বাজারে পণ্য বিক্রি করে অন্যায্যভাবে ব্যবসা চালাচ্ছে, যেন আমেরিকার রক্ত শুষে নিচ্ছে।
Advertisement
এই প্রেক্ষাপটে আমেরিকার মাটিতেই বৈঠক করে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করল ব্রিক্স। যদিও বৈঠকে সরাসরি আমেরিকার নাম ওঠেনি। তবে জয়শঙ্করের শুল্ক-বিরোধী বার্তা এবং বহুপাক্ষিক বাণিজ্য ব্যবস্থার উপর জোর দেওয়াই স্পষ্ট করে দিচ্ছে, বিশ্ব অর্থনীতির অস্থিরতায় একযোগে মোকাবিলা করতেই এগোচ্ছে ব্রিক্স।
Advertisement



