যৌন হেনস্থায় অভিযুক্ত স্বামী চৈতন্যানন্দ সরস্বতীর বেশ কয়েকটি ভুয়ো ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের খোঁজ পেল দিল্লি পুলিশ। এফআইআর দায়ের হওয়ার পরেও ওই অ্যাকাউন্টগুলো থেকে ৫৫ লক্ষ টাকা তোলা হয়েছে বলে পুলিশ জানতে পেরেছে। নিখোঁজ চৈতন্যানন্দের বিরুদ্ধে লুকআউট নোটিস জারি করা হয়েছে। চৈতন্যানন্দের খোঁজে কয়েকটি রাজ্যে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। এরই মধ্যে গোপন ডেরা থেকে দু’টি ভুয়ো ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা তোলা হয়েছে বলে খবর প্রকাশ্যে এসেছে।
তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, দু’টি ভিন্ন নামে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খুলেছিলেন স্বামী চৈতন্যানন্দ। সম্প্রতি ওই অ্যাকাউন্টগুলো থেকে টাকা লেনদেনও হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। শুক্রবার আইনজীবী মারফত দিল্লির পাতিয়ালা আদালতে আগাম জামিনের আবেদন করেছিলেন তিনি। আদালত মামলার রায় স্থগিত রেখেছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নামে যে সব টাকা আসত, তা নিজের অ্যাকাউন্টে স্থানান্তরিত করতেন বলে তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন। শুধু তা-ই নয়, সেই টাকা নিজের স্বার্থেও ব্যবহার করতেন বলে খবর।
Advertisement
উল্লেখ্য, স্বামীজির বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ এনেছিলেন তাঁরই ম্যানেজমেন্ট কলেজের ছাত্রীরা। দিল্লি পুলিশের কাছে ১৭ জন ছাত্রী অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। দিল্লির বসন্ত কুঞ্জের শ্রী সারদা ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়ান ম্যানেজমেন্টের পরিচালক ছিলেন তিনি।
Advertisement
সেই কলেজেরই এক ছাত্রী দাবি করেছেন, ‘প্রথমে ছাত্রীদের বেছে নিতেন। তার পর সেই সব ছাত্রীদের ফোন নিজের কাছে রাখতেন। বলা হত, পড়াশোনায় যাতে ছাত্রীরা মনোযোগ দিতে পারে, তার জন্য এই ব্যবস্থা।’ ওই ছাত্রী আরও দাবি করেছেন, ‘বাবা’ যে সব ছাত্রীদের বাছাই করতেন, তাঁদের নিজের পছন্দমতো ফোন কিনে দিতেন। আর সেই ফোনের পুরো নিয়ন্ত্রণ থাকত তাঁর হাতেই।
আরও এক ছাত্রীর দাবি, ‘ছাত্রীদের প্রতি নিয়ত ধমকানো হত। কেরিয়ার নষ্ট করে দেওয়ার ভয় দেখানো হত। এমনকী শিক্ষাগত যোগ্যতার সমস্ত আসল শংসাপত্র নিজের কাছে জমা রাখতেন স্বামী চৈতন্যানন্দ। তাঁর প্রস্তাবে কেউ রাজি না হলে তাঁর উপর নেমে আসত শাস্তির খাঁড়া। এমনকী বহিষ্কারও করা হত। ফলে ভয়ে কেউই মুখ খুলত না।’
Advertisement



