• facebook
  • twitter
Friday, 5 December, 2025

দারিদ্র্য ছিল যাঁর নিত্যসঙ্গী, তিনিই এখন ‘মাশরুম লেডি’

বীণা দেবীকে এখন সারা দেশ ‘মাশরুম লেডি’ হিসাবেই চেনে। তিনি বিহারের মুঙ্গের জেলার বাসিন্দা। একচিলতে ঘরে চার সন্তান নিয়ে বাস করেন বীণা।

এক সময় খাবার জুটত না তাঁর। সন্তানের মুখে খাবার তুলে দেওয়া জন্য হিমশিম খেতে হত। মাথার উপরে ছাদ ছিল না কোনও। সেই মহিলাই এখন ৭০ হাজার গ্রামীণ মহিলার রুজি-রুটির পথ দেখাচ্ছেন। গোটা দেশে তিনি ‘মাশরুম লেডি’ হিসাবে তার সুনাম। এখন তিনি গ্রামীণ মহিলাদের নতুন করে বেঁচে থাকার জন্য স্বপ্ন দেখাচ্ছেন। তাঁর দেখানো পথে হেঁটেই স্বনির্ভর হচ্ছে গ্রামীণ মহিলারা।

বীণা দেবীকে এখন সারা দেশ ‘মাশরুম লেডি’ হিসাবেই চেনে। তিনি বিহারের মুঙ্গের জেলার বাসিন্দা। একচিলতে ঘরে চার সন্তান নিয়ে বাস করেন বীণা। খাটের নীচে কম জায়গায় মাশরুম চাষ শুরু করেন। সেই থেকে পথ চলা শুরু। ছোট্ট ঘরের চৌকির নীচে মাশরুম বানিয়ে রাখতেন। এক কেজি মাশরুমের বীজ থেকে ব্যবসার শুরু। তারপর অন্যের জমিতে মাশরুম চাষ শুরু করেছিলেন। আগ্রহ-বশে তিনি বিহার কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগিতায় মাশরুম চাষ সংক্রান্ত নানা তথ্য সংগ্রহ করেন। মাশরুম চাষ নিয়ে পড়াশোনা করলেও প্রথম দিকে ব্যর্থ হয়েছেন। কিন্তু সেই ব্যর্থতা থামাতে পারেনি বীণা দেবীকে।

Advertisement

গ্রামবাসীদের কাছে মাশরুম বিক্রি করে উপার্জন কিছুটা বাড়তে থাকে। স্থানীয় বাজারে ২০০-৩০০ টাকা প্রতি কেজি মাশরুম বিক্রি করা শুরু করেন। তার পর ধীরে ধীরে টাকা জমিয়ে একটি জমি কেনেন। সেখানেই পাকাপাকি ভাবে মাশরুম চাষ শুরু করেন বীণা। এখন তিনি নিজে বেশ সফল। তাঁর দেখানো পথে ১০০টিরও বেশি গ্রামের মহিলাদের মাশরুম চাষে অনুপ্রাণিত করেছেন। বীণার মতে, ‘মহিলারা আর্থিক ভাবে স্বনির্ভর হলেই তবে তাঁদের আত্মসম্মান বাড়বে’।

Advertisement

৭০ হাজার গ্রামীণ মহিলার কাছে বীণা হয়ে উঠেছেন ত্রাতা। এখন তিনি মুঙ্গেরের এক গ্রামের দরিদ্র মহিলা বীণা দেবী নন, এখন সারা দেশে তিনি ‘মাশরুম লেডি’ নামেই পরিচিত। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তাঁর ‘মন কী বাত’-এ বীণার ঘুরে দাঁড়ানোর কাহিনি শুনিয়েছেন। ২০১৪ সালে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী তাঁর এই কাজের জন্য সম্মানিত করেন। তখনও তিনি ‘মাশরুম লেডি’ হয়ে ওঠেননি। ২০১৮ সালে ‘উইমেন ফার্মার অ্যাওয়ার্ড’ পেয়েছেন। ২০১৯ সালে পেয়েছেন ‘কিসান অভিনব পুরস্কার’।

Advertisement