তিন দিনের ‘যৌথ সেনাপতি সম্মেলন ২০২৫’-এর উদ্বোধন করতে রবিবার সন্ধ্যায় কলকাতায় পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আজ, সোমবার থেকে বিজয় দুর্গে (ফোর্ট উইলিয়াম) শুরু হচ্ছে এই সম্মেলন, যেখানে ভারতের তিন বাহিনীর প্রধানসহ পদস্থ ও গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তারা উপস্থিত থাকবেন। সম্মেলনে ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীর মধ্যে সমন্বয় বৃদ্ধি, প্রযুক্তিগত আধুনিকীকরণ এবং প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কারের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সর্বোচ্চ স্তরের মত বিনিময় হবে।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের ৮ সেপ্টেম্বরের তথ্য অনুযায়ী, সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে উপস্থিত থাকবেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল এবং তিন বাহিনীর সর্বাধিনায়ক (সিডিএস) অনিল চৌহান। এছাড়া প্রতিরক্ষা প্রতিমন্ত্রী, প্রতিরক্ষা সচিব এবং অন্যান্য কেন্দ্রীয় মন্ত্রকের সচিবরাও সম্মেলনে উপস্থিত থাকবেন।
Advertisement
জানা গিয়েছে, রবিবার রাজভবনে রাত্রিযাপন করবেন প্রধানমন্ত্রী। সোমবার সকালে তিনি বিজয় দুর্গে যৌথ সেনাপতি সম্মেলনের উদ্বোধন করবেন। ইতিমধ্যেই প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহও রবিবার রাতে বিজয় দুর্গে অবস্থান করছেন।
Advertisement
প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রে জানানো হয়েছে, এ বারের সম্মেলনের মূল আলোচনা হবে ভারতীয় সেনা বাহিনীতে ‘সংস্কার, রূপান্তর ও পরিবর্তন’ নিয়ে। অত্যাধুনিক প্রযুক্তি আরও বেশি কাজে লাগিয়ে সামরিক সক্ষমতা উন্নয়ন, তিন বাহিনীর মধ্যে সমন্বয় বৃদ্ধি এবং প্রয়োজনে কাঠামোগত সংস্কার— এসবই আলোচ্যসূচির মূল বিষয়।
প্রসঙ্গত, মোদী গত দু’দিন উত্তর-পূর্ব ভারতের সফরে ছিলেন। শনিবার মিজোরাম ও মণিপুরে, রবিবার প্রথমার্ধে অসমে। রবিবার সন্ধ্যা ৬টা ৪৫ মিনিটে কলকাতা বিমানবন্দরে নামেন প্রধানমন্ত্রী। কেন্দ্রীয় শিক্ষা ও উত্তর-পূর্ব উন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার তাঁকে স্বাগত জানান। সেখান থেকেই তিনি সন্ধ্যায় রাজভবনে চলে আসেন।
বিমানবন্দরে পৌঁছানোর পর প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান বিজেপির কর্মী-সমর্থকরা। বিমানবন্দর থেকে গাড়ি করে বেরোনোর সময় তাঁকে ঘিরে ধরেন দলের কর্মী ও সমর্থকরা। মানুষের এতো ভিড় দেখে হঠাৎ গাড়ি থামান প্রধানমন্ত্রী। নেমে এসে ভক্ত-সমর্থকদের উদ্দেশে হাত নেড়ে শুভেচ্ছা জানান তিনি। এভাবে সরকারি সফরের মাঝে কার্যত তাৎক্ষণিক রাজনৈতিক জনসংযোগ সারেন।
Advertisement



