• facebook
  • twitter
Friday, 5 December, 2025

বিনা লড়াইয়ে সিএবি’র সভাপতি পদে আসতে চলেছেন সৌরভ

সৌরভ গাঙ্গুলি সভাপতি হিসেবে দ্বিতীয়বারের জন্য ব্যাটন নিজের হাতে তুলে নেবেন। তাই সৌরভ নিজের পছন্দমতো সদস্য কমিটিতে মনোনয়ন দিতে চাইবেন।

প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র

সিএবি’র প্রশাসনের প্রধান হিসাবে আবার ফিরে আসছেন ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ক সৌরভ গাঙ্গুলি। এমন একটি হাওয়া বইতে শুরু করেছে ক্লাবহাউস চত্বরে। রবিবার মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন। আগামী ২২ সেপ্টেম্বর সিএবি’র বার্ষিক সাধারণ সভায় পাকা হয়ে যাবে কারা সিএবি’র প্রশাসনের ব্যাটনটা হাতে তুলে নেবেন। কিছুদিন আগে সৌরভ গাঙ্গুলি সভাপতি হিসেবে যদি দাঁড়ান, সেক্ষেত্রে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ওই আসন ছেড়ে দেওয়া হবে না, এমন একটা হাওয়া তৈরি হয়েছিল। অনেকেই বলতে শুরু করেছিলেন, আর এক প্রাক্তন সভাপতি অভিষেক ডালমিয়া সভাপতি পদে লড়াই করতে তৈরি হচ্ছেন। কিন্তু যে কারণেই হোক, অভিষেক সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে দাঁড়িয়ে বলেছেন, তিনি কোনওভাবেই সভাপতি পদে মনোনয়নপত্র দিচ্ছেন না। সেই কারণেই সৌরভের কাছে সভাপতি হওয়ার পথটা একেবারেই পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে। হয়তো বিরোধী শিবিরে এমন কোনও চাপ ছিল, যার ফলে কেউই মনোনয়নপত্র জমা দেবেন না বলে জানা গিয়েছে।

এখানে উল্লেখ করা যেতে পারে, কয়েক বছর আগে এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল, সৌরভ নিজেই বলেছেন, আমি সভাপতি পদে আসছি। কিন্তু কৌশলগতভাবে তিনি ওই পদে না দাঁড়িয়ে একেবারে শেষ মুহূর্তে দাবার চালে দাদা স্নেহাশিস গাঙ্গুলিকে ওই পদ উপহার দিয়েছিলেন। উপহার কথাটার পিছনে অবশ্যই অন্য একটা খেলা ছিল। সম্বরণ ব্যানার্জির নেতৃত্বে রঞ্জি ট্রফি জয়ী বাংলা দলে সৌরভ গাঙ্গুলির নাম ছিল না। সেই জায়গায় স্নেহাশিস গাঙ্গুলি নিজের জায়গা ছেড়ে দিয়ে সৌরভকে খেলানোর ব্যবস্থা করেছিলেন। তারপর থেকেই সৌরভ নিজেকে একজন দক্ষ ক্রিকেটার হিসেবে প্রকাশ করেছিলেন। হয়তো গুরুদক্ষিণার মতো সৌরভ সভাপতি পদটি দাদা স্নেহাশিসকে দিয়েছিলেন। তাই অনেকেই সৌরভের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত কী হবে, তা নিয়ে এখনই কিছু বলতে চাইছেন না।

Advertisement

তবে সৌরভ গাঙ্গুলি সভাপতি হিসেবে দ্বিতীয়বারের জন্য ব্যাটন নিজের হাতে তুলে নেবেন। তাই সৌরভ নিজের পছন্দমতো সদস্য কমিটিতে মনোনয়ন দিতে চাইবেন। ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকবার গোপন বৈঠকে সৌরভ গাঙ্গুলি তাঁদের নিয়ে আলোচনা করেছেন। প্রথমে ভাবা হয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকারের স্পোর্টস বিল যদি এখনই কার্যকর করা হয়, সেক্ষেত্রে সচিব পদে বিশ্বরূপ দে’কে আনা। এই ভাবনাটা তৈরি হয়েছিল সৌরভের বিরোধী হিসেবে বিশ্বরূপ দে নির্বাচনে সবসময় লড়াই করেছেন। কিন্তু এবারে বেশ কিছুদিন ধরেই দেখা গিয়েছে সৌরভের সঙ্গে হাত মিলিয়ে বিশ্বরূপ কাজ করে চলেছেন। যেমন কলকাতা ময়দানে মোহনবাগানে নির্বাচনে দেবাশিস দত্ত ও সৃঞ্জয় বসুর ভূমিকা দেখা গিয়েছিল। রাতারাতি তাঁরা বিরোধী থেকে হাত মিলিয়ে বন্ধুত্ব গড়ে তুলেছেন। কিন্তু সেই জায়গাটা পাচ্ছেন না বিশ্বরূপ।

Advertisement

তবে সচিব পদে বাবলু কোলে ও সঞ্জয় দাসের নাম ঘোরাফেরা করছে। সৌরভের পছন্দের প্রথম নামটা অবশ্যই সঞ্জয় দাস। যদি এমন হয়, বাবলু কোলে সচিব হন, তাহলে সঞ্জয় দাসকে কোষাধ্যক্ষ পদ দেওয়া হবে। না হলে যুগ্মসচিব হিসেবে সঞ্জয়ের নামটা দেখা যেতে পারে। সহসভাপতি পদে আইএফএ’র চেয়ারম্যান সুব্রত দত্তর নাম বড় করে দেখা দিয়েছে। সুব্রত দত্তর বাবা বিশ্বনাথ দত্ত সিএবি’র সভাপতির পদ অলঙ্কৃত করেছেন দক্ষতার সঙ্গে। ক্রিকেট প্রশাসক হিসেবে জগমোহন ডালমিয়াকে তৈরি করার পিছনে অবশ্যই বিশ্বনাথ দত্তের ভূমিকাকে কোনওদিনই ভোলা যাবে না। সহসভাপতি পদে অনু দত্ত ও ক্রিকেটার মদন ঘোষের নামও শোনা যাচ্ছে। সিএবি’র প্রাক্তন কর্মকর্তা বাবলু গাঙ্গুলির ছেলে সৌমিক গাঙ্গুলি ও শ্রীমত মল্লিকের নাম উঠে এসেছে। সৌরভের প্যানেলে কারা থাকবেন, তা এখনও স্পষ্ট করে জানা না গেলেও রবিবার সকালে প্রকাশ্যে এসে যাবে। আইএফএ-তে যেমন দত্ত পরিবারের প্রভাব খেলা করে, তেমনই আবার এখন গাঙ্গুলি পরিবারই সিএবি’তে শেষ কথা বলে।

Advertisement