• facebook
  • twitter
Friday, 5 December, 2025

আত্মঘাতী মহিলা তথ্য-প্রযুক্তি কর্মী

লকডাউনের জেরে দেশ জুড়ে যে কয়েকশাে কর্মীর কাজ গিয়েছে, তাদেরই অন্যতম ছিলেন কাভালামের বাসিন্দা বছরের যুবতী জিনা মূল জোসেফ।

কৃষি ক্ষেত্রের সংকটের সময় কৃষক আত্মহত্যার ঘটনা আমাদের দেশে আকছাড় ঘটেছে। তবে এবার কোভিড ১৯-এর ধাক্কায় কি টেকিদের আত্মহত্যার প্রবণতা শুরু হতে চলেছে? নামী তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থা তাদের এক কর্মীকে ফোনে জানিয়েছিল যে তার চাকরিটি আর নেই। এরপর মেকোচির ওই কর্মী আত্মঘাতী হন।

বাবাকে তিনি বলেছিলেন, মে মাসেই তিনি ফোনটা পান। তাদের সঙ্গেই সারেন নৈশভােজ। এরপর বেডরুমে গিয়ে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেন ওই যুবতী। সকালে উদ্ধার হয় তার ঝুলন্ত দেহ। স্টেশন হাউস অফিসার জানিয়েছেন, ‘প্রাথমিক তদন্তে আমাদের মনে হয়েছে, চাকরি হারানাের পরই অবসাদে আত্মহত্যা করেছেন ওই টেকি।’

Advertisement

লকডাউনের জেরে দেশ জুড়ে যে কয়েকশাে কর্মীর কাজ গিয়েছে, তাদেরই অন্যতম ছিলেন কাভালামের বাসিন্দা বছরের যুবতী জিনা মূল জোসেফ। তিনি কোনও সুইসাইড নােট রেখে যাননি।

Advertisement

জিনার ভাই বলেছেন, ‘জিনার বাবা-মা এ ব্যাপার নিয়ে হইচই হােক এটা চান না। তারা এইজন্য সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথাও বলতে চান না।’ নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মী বলেছেন, আমরা জানতে পারি যে আমাদের কোম্পানি ছাঁটাই শুরু করেছে। অনেকেই ছাঁটাইয়ের তালিকা তৈরি করছিলেন। এটা খুব নিঃশব্দে হচ্ছিল। কেউ টের পায়নি। কারও চাকরিই নিশ্চিত ছিল না, তাই এর বিরুদ্ধে কেউ রুখে দাঁড়াতেও পারেননি।

যদিও এ ব্যাপারে কোম্পানির এইচআর ম্যানেজারের সঙ্গে কথা বলা হলে তিনি অভিযােগ অস্বীকার করেন। বলেন, কোনও কর্মীর আত্মহত্যার খবর তাদের কাছে নেই। এব্যাপারে তিনি মিডিয়াকে কিছু বলতে পারবেন না।

Advertisement