• facebook
  • twitter
Friday, 5 December, 2025

ভারতীয় ফুটবলকে নতুন স্বপ্ন দেখাতে চান কোচ খালিদ জামিল

আক্রামভকে দেখেছি বাইচুং বাইচুং করে অস্থির। ব-কলমে বাইচুংয়ের ইশারা ইঙ্গিতেই সেই সময় আক্রামভ দল গড়তেন। অনেকটা সেই রকমই অবস্থা ছিল ইগর স্টিম্যাকেরও।

ফাইল চিত্র

আরিফুল ইসলাম

ভারতীয় ফুটবল দলের নতুন কোচ খালিদ জামিল মাঠে নেমে পড়েছেন। সৌদি আরবের কাফা নেশন্স কাপ ফুটবলে ভারত প্রথম ম্যাচে দুরন্ত জয় তুলে নিয়েছে তাজিখিস্তানের বিরুদ্ধে। সেই আত্মবিশ্বাসে দ্বিতীয় ম্যাচে শক্তিশালী ইরানের বিরুদ্ধে লড়াই করে সেষ পর্যন্ত হার স্বীকার করতে হয়েছে।

Advertisement

দীর্ঘ কয়েক যুগ পর জাতীয় ফুটবল নিয়ামক সংস্থা এআইএফএফ ভারতীয় ফুটবল দলকে নতুন কোচ হিসাবে তুলে দিলেন খালিদ জামিল নামে একটা ভূমি পুত্রের হাতে। সুনীল ছেত্রিকে দলের বাইরে রাখা হল কম বেশি কুড়ি বছর পর । বেশ কয়েক বছর পর বাংলার কোনও ফুটবলারের জায়গা হল না ভারতীয় দলে।

Advertisement

দীর্ঘ আড়াই যুগ পর ফেডারেশন কর্তারা বুঝতে পেরেছেন কোটি কোটি টাকার বিনিময়ে দীর্ঘদিন বিদেশি কোচ জামাই আদর করে কার্যত কোনও লাভ হয়নি। বার বার সমালোচনায় বিদ্ধ হতে হয়েছে। বেশ কিছু বছর যাবৎ জাতীয় লিগ বা আইএসএলে বিদেশি কোচের পেছনে অন্য দলের ইনভেস্টমেন্টর নিরিখে খালিদ জামিলের পারফরমেন্স বাস্তবিকই যথেষ্ট ঈর্ষার ও ঝলমলে। দীর্ঘদিন নর্থ ইস্ট দলকে কোচিং করানোর সুবাদে জাতীয় ক্ষেত্রে একঝাঁক প্রাণবন্ত ফুটবলার তুলে এনেছেন যারা দেশের বিভিন্ন দলে এখন খেলে চলেছেন। বর্তমান দেশে যে ফুটবলের পরিকাঠামো তাতে ভূমিপুত্রদের যে সাপ্লাই লাইন তাতেও একমাত্র ব্যক্তিগত হিসাবে কৃতিত্ব দাবি খালিদ করতেই পারেন। হালফিল দায়িত্বে জামশেদপুর ইউনাইটেড। একদা যে দলটির পুরোনো কাঠামোটা টাটা ফুটবল একাডেমির।

এছাড়াও কোচ খালিদ এই প্রতিযোগিতার জন্য প্রাথমিক ৩৫ জনকে বাছাই পর্বে ডেকেছিলেন মূল দল গড়ার ক্ষেত্রে। সবার সম্পর্কে ওয়াকিবহাল। কারণ এদের অধিকাংশই খালিদের কোচিং এ কখন না কখনও জাতীয় পর্যায়ে খেলেছেন। যা বিদেশি কোচেদের ছিল না, থাকার কথাও নয় । রুস্তম আক্রামভ, স্টিভন কন্সটানটাইন, থেকে আরম্ভ করে ইগর স্টিম্যাক ও মানালো মার্কোজ পর্যন্ত এরা ছিল কমপ্লিট ভাড়াটে শিক্ষক। তবে ১৯৮২ সালে এশিয়ান গেমসের আগে ভারতীয় দলের কাচের দায়িত্ব নিয়েছিলেন সিরিচ মিলোভান। তাঁর মতোন বিদেশি কোচ পরবর্তী সময় ভারতে কেউই আসেননি তা জোর গলায় বলতে পারা যায়।

আক্রামভকে দেখেছি বাইচুং বাইচুং করে অস্থির। ব-কলমে বাইচুংয়ের ইশারা ইঙ্গিতেই সেই সময় আক্রামভ দল গড়তেন। অনেকটা সেই রকমই অবস্থা ছিল ইগর স্টিম্যাকেরও। এক এক সময় স্টিম্যাকের এমন অবস্থা হতো তিনি যেন ছেত্রি ছেত্রি জপ করছেন। এমন মনে হতো ছেত্রি তাঁর চাকরি বাঁচিয়ে রাখবে। এই হচ্ছে সার্বিক বিদেশি কোচের পোগ্রেস রিপোর্ট কার্ড।

এই সময় ভারতীয় ফুটবল সংস্থা যে কারণেই হোক খালিদ জামিলকে কোচের দায়িত্ব দিয়ে নতুন কিছু ভাবতে শুরু করেছে। আগামী দিনে এর প্রতিফলন কিরকম হবে তা বুঝতে আরও কিছুদিন অপেক্ষায় থাকতে হবে। কোচ খালিদ জামিল অবশ্যই চেষ্টা করবেন ভারতীয় ফুটবল মানচিত্রে নতুন স্বপ্ন দেখাতে। তার জন্য সময় দিতে হবে কোচকে।

Advertisement