• facebook
  • twitter
Saturday, 6 December, 2025

প্রদেশ কংগ্রেস দপ্তরে হামলা, ট্যাংরার ফ্ল্যাট থেকে গ্রেপ্তার রাকেশ সিং

ঘটনার পরই দ্রুত পদক্ষেপ নেয় কলকাতা পুলিশ। সেদিনই বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। কিন্তু রাকেশ ছিলেন অধরা। রবিবার রাতে তাঁর বাড়িতে হানা দেয় পুলিশ।

ধৃত বিজেপি নেতা রাকেশ সিং। প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র

প্রদেশ কংগ্রেস দপ্তরে হামলার ঘটনায় অবশেষে পুলিশের জালে বিজেপি নেতা রাকেশ সিং। পাঁচ দিন ধরে চষে ফেলা হয়েছিল শহরের একাধিক এলাকা। অবশেষে মঙ্গলবার গভীর রাতে ট্যাংরার একটি বহুতল আবাসন থেকে গ্রেপ্তার করা হয় তাঁকে। আজ, বুধবার, রাকেশকে তোলা হবে আলিপুর আদালতে।

প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার বিকেলে কংগ্রেসের রাজ্য দপ্তরে ঘটে যায় অভূতপূর্ব অশান্তির ঘটনা। অভিযোগ, বিজেপি সমর্থকদের একদল হামলা চালায় বিধান ভবনে। ভাঙচুর করা হয় একাধিক আসবাবপত্র। কংগ্রেসের রাজ্য দপ্তরের ভেতর এবং বাইরে রাহুল গান্ধী, সোনিয়া গান্ধী ও অন্যান্য শীর্ষ নেতাদের ছবিতে কালি লাগানো হয়। এমনকি দলীয় পতাকায়ও আগুন ধরিয়ে দেওয়ার মতো ন্যক্করজনক ঘটনা ঘটায় গেরুয়াপন্থীরা। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, হামলাকারীদের নেতৃত্বে ছিলেন বিজেপি নেতা রাকেশ সিং নিজে।

Advertisement

ঘটনার পরই দ্রুত পদক্ষেপ নেয় কলকাতা পুলিশ। সেদিনই বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। কিন্তু রাকেশ ছিলেন অধরা। রবিবার রাতে তাঁর বাড়িতে হানা দেয় পুলিশ। কিন্তু সেখানে তাঁকে পাওয়া যায়নি। এরপর থেকে তাঁর ছেলে শিবম সিংকে দফায় দফায় জেরা করা হয় এবং পরে তাঁকেও গ্রেপ্তার করা হয়।

Advertisement

এদিকে, গা ঢাকা দিয়েও একটি ভিডিও বার্তা প্রকাশ করেন রাকেশ, যেখানে তিনি পুলিশকে সরাসরি হুঁশিয়ারি দেন এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করেন। ওই বার্তা প্রকাশের পর পুলিশের তৎপরতা আরও বেড়ে যায়। অবশেষে মঙ্গলবার রাতে ট্যাংরার একটি ফ্ল্যাট থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

এই গ্রেপ্তারি নিয়ে অস্বস্তিতে বিজেপি শিবির। যদিও রাজ্য নেতৃত্বের তরফে এখনও কোনও আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তবে রাজনৈতিক মহলে জল্পনা তুঙ্গে— এই গ্রেপ্তারি বিজেপির শহর ও রাজ্য রাজনীতিতে নতুন সমীকরণ তৈরি করতে পারে।

Advertisement