কলকাতাতে এসেই মঙ্গলবার অনুশীলনে নেমে পড়লেন মোহনবাগান সুপার জায়ান্টসের ষষ্ঠ বিদেশি ফুটবলার রবসন রবিনহো। এদিন সাংবাদিক বৈঠকে রবসন জানান, ভারতীয় ফুটবলের সঙ্গে আমার সম্পর্ক মানসিক দিক দিয়ে অনেক দিনের। তাই যখনই মোহনবাগান থেকে আমার কাছে অনুরোধ আসে, তখন আর সেই অনুরোধ ফিরিয়ে দিতে পারিনি। মোহনবাগানের নাম বিশ্বজুড়েই। সেই কারণে সবুজ-মেরুন জার্সিতে আমি নিজের সেরাটা দিতে চাইছি। দলের প্রয়োজনে যে কোনও পজিশনে খেলতে রাজি ব্রাজিলের এই ফুটবল তারকা।
তিনি আরও বলেন, দলের জয় এনে দেওয়াটাই আমার একমাত্র লক্ষ্য। সেই লক্ষ্যে কোচ যদি তাঁকে ফরোয়ার্ড হিসেবে খেলায়, তাহলে আমি যেমন গোল করার চেষ্টা করব, তেমনই যদি আমাকে একটু পিছন থেকে খেলানো হয় তাহলে আমি অবশ্যই সহ খেলোয়াড়দের গোলের অ্যাসিস্ট করতে চাই। পাশাপাশি, অতীতে মোহনবাগানে খেলে যাওয়া ব্রাজিলীয় তারকা হোসে ব্যারেটোর কথা তিনি জানেন। এমনকি, ভারতে খেলতে আসার আগে তিনি ব্যারেটোর বেশকিছু ভিডিও দেখেছেন বলেও জানান রবিনহো।
Advertisement
মার্চে শেষে ব্রাজিলে প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচ খেললেও দ্রুত দলের সঙ্গে মানিয়ে নিতে আশাবাদী তিনি। জানালেন, নতুন পরিবেশে নতুন চ্যালেঞ্জ নিতে পুরোপুরি তৈরি তিনি। একইসঙ্গে, রবিনহো বলেন মোহনবাগানের ডাকে আমি নীরব থাকতে পারিনি। রবসনের পছন্দের জায়গা লেফট উইং হলেও সবুজ -মেরুনে সেই পজিশনে লিস্টন কোলাসো, সামাদের মতো একাধিক রয়েছে। যদিও, তা নিয়ে খুব একটা ভাবিত নন তিনি। রবসনের মতে, যেকোনও দলেই একটা প্রতিযোগিতা থাকে। এরপরেই আত্মবিশ্বাসী রবিনহো বলেন, যদি তাঁর অতীত পরিসংখ্যান দেখা যায় তাহলে দেখা যাবে তিনি গোল করার পাশাপাশি সতীর্থ খেলোয়াড়কে দিয়ে অনেক গোল করিয়েছেন। তাই, দলের প্রয়োজনে যে কোনও জায়গায় খেলতে তাঁর কোনও অসুবিধা নেই। সবুজ-মেরুন শিবিরের হয়ে প্রতিটা খেতাব তুলে দিতে পারলে সবচেয়ে খুশি মানুষ হিসেবে রবসন নিজেকে মনে করবেন। এদিকে দীর্ঘদিন ধরে বিশ্ব ফুটবলে ব্রাজিল ভালো ফলাফল করতে না পারায় স্বাভাবিকভাবেই বেশ হতাশ রবিনহো। জানালেন, প্রতিভা থাকা সত্ত্বেও কেন ব্রাজিল বিশ্ব ফুটবলে ভালো কিছু করতে পারছে না তা সত্যিই তিনি জানেন না। তবে, আগামী ২০২৬ বিশ্বকাপে ব্রাজিলের ভালো ফলাফল করার সম্ভাবনা আছে বলেই মনে করেন রবিনহো।
Advertisement
মোহনবাগান সুপার জায়ান্টসের এসিএল-২ ম্যাচ রয়েছে সামনেই। স্বাভাবিকভাবেই দলে রবসন যোগ দেওয়াতে কোচ হেসে মোলিনার আক্রমণের শক্তি অবশ্যই বেড়ে গেল। ব্রাজিলের এই ফুটবলার কীভাবে দলের অন্য খেলোয়াড়দের সঙ্গে মানিয়ে নেবে, সেটাই হল সবচেয়ে বড় কথা। কথা প্রসঙ্গে রবসন মাঝে মধ্যেই কয়েকটা বাংলা কথা বলে ফেললেন সাংবাদিকদের সামনে। বাংলা ভাষা সম্পর্কে তাঁর একটা টান আছে। তার প্রধান কারণ হল, বাংলাদেশে তিনি বেশ কিছুদিন খেলেছেন। সেই সুবাদেই বাংলা ভাষাটা তাঁর অল্পবিস্তর জানা আছে। এমনই কথা বলতে শোনা গেল রবসনের মুখে।
Advertisement



