প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর জাপান সফরের সময়ই পহেলগামে ভয়াবহ জঙ্গি হামলাকে কেন্দ্র করে জোরালো বার্তা দিল টোকিও। শুক্রবার রাতে ভারত ও জাপান যৌথ বিবৃতিতে পহেলগাম হামলার কড়া নিন্দা করে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ লড়াইয়ের আহ্বান জানায়।
বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘এই নিন্দনীয় ঘটনার সঙ্গে যারা জড়িত, যারা হামলা সংগঠিত করেছে এবং যারা অর্থ ও অন্যান্য সহায়তা দিয়েছে, তাদের অবিলম্বে বিচারের আওতায় আনতে হবে।’ একই সঙ্গে রাষ্ট্রসঙ্ঘের নিষিদ্ধ তালিকাভুক্ত লস্কর-ই-তৈবা, জইশ-ই-মহম্মদ, আইসিস ও আল কায়েদার মতো জঙ্গিগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে কার্যকর পদক্ষেপ করারও ডাক দেওয়া হয়েছে।
Advertisement
রাষ্ট্রসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদের ২৯ জুলাইয়ের রিপোর্টে যেসব সংগঠনের নাম উঠে এসেছে, তার মধ্যে ‘দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট’-এর নাম রয়েছে। পহেলগাম হামলার দায় স্বীকার করেছিল এই গোষ্ঠীই। ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী মোদী জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিগেরু ইশিবাকে এই বিষয়ে অবহিত করলে তিনি গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
Advertisement
উল্লেখ্য, গত ২২ এপ্রিল জম্মু-কাশ্মীরের পহেলগামে জঙ্গি হামলায় প্রাণ হারান ২৬ জন। এই ঘটনার পরই ভারত কড়া পদক্ষেপ করে। ৬ মে মধ্যরাতে ‘অপারেশন সিঁদুর’-এ পাকিস্তানের মাটিতে একাধিক জঙ্গিঘাঁটি ধ্বংস করা হয়। পরে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সীমান্তে চার দিন ধরে চলা সংঘর্ষ শেষে ১০ মে সংঘর্ষবিরতিতে সম্মত হয় উভয়পক্ষ।
যদিও পাকিস্তান শুরু থেকেই হামলার দায় অস্বীকার করে আসছে এবং দাবি করেছে, তাদের ভূখণ্ডে লস্কর বা অন্য কোনও নিষিদ্ধ জঙ্গিগোষ্ঠীর অস্তিত্ব নেই। তবে ভারত-জাপান যৌথ বিবৃতিতে এসব গোষ্ঠীর নাম উঠে আসায় কূটনৈতিক ভাবে চাপ আরও বেড়েছে ইসলামাবাদের উপরে।
একই সঙ্গে যৌথ বিবৃতিতে ইউক্রেন সংঘাতের কূটনৈতিক সমাধান এবং গাজা-সহ পশ্চিম এশিয়ার পরিস্থিতি নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। আন্তর্জাতিক আইন মেনে শান্তি প্রতিষ্ঠার পক্ষে জোরালো সওয়াল করেছেন দুই দেশের শীর্ষ নেতারা।
দু’দিনের সরকারি সফরে জাপানে যান প্রধানমন্ত্রী মোদী। সফরের ফাঁকে জাপানের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বুলেট ট্রেন সফর করেন তিনি। পাশাপাশি, প্রশিক্ষণরত ভারতীয় ট্রেনচালকদের সঙ্গেও সৌজন্য বিনিময় করেন মোদী।
Advertisement



