• facebook
  • twitter
Friday, 5 December, 2025

যুদ্ধের মধ্যেও সাহিত্য ধরে রাখে জীবনের কাহিনি

ইতালিয়ান কথা সাহিত্যিক আলবার্তো মোরাভিয়া দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পটভূমিতে লিখেছেন তাঁর কালজয়ী উপন্যাস ‘টু উইমেন’।

প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র

মহম্মদ শাহাবুদ্দিন

ইতিহাসে যুদ্ধ বার বার এনেছে ধ্বংসের বার্তা। প্রতিটি যুগের যুদ্ধের বৃত্তান্ত, তার পরিণতিকে ইতিহাসে পাই। যুদ্ধের ছায়া পড়ে সাহিত্যে, কাব্যে, যুদ্ধ শেষ হলেও যুদ্ধ থেকে যায়। শুরু হয় যুদ্ধ থেকে, যুদ্ধের আঘাত থেকে নতুন করে বেঁচে ওঠার যুদ্ধ। সাহিত্যে আমরা ইতিহাসের যে ঘটনা পাই, যতটুকু ধরা দেয় তার সঙ্গে থেকে যায় মানব জীবনের গভীর সম্পর্ক। এই সম্পর্কে আমরা পেয়েছি ধ্বংসের রক্তচিহ্ন মুছে মানুষের উত্তরণের আকাঙ্খা। সাহিত্যে যুদ্ধের ভেরী প্রথম শোনা গিয়েছিল মহাকাব্যের পাতায়। সাহিত্য উন্মেষের তখন প্রাচীনকাল। ৮ম শতকে হোমারের ইলিয়াড ওডিসিতে লিপিবদ্ধ হয়েছে ট্রোজান যুদ্ধের কথা। মহাভারতে কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধে অনৈতিক দূর্নিবার লোভ ভ্রাতৃঘাতী যুদ্ধের পরিণত হয়েছিল। শেষ হয়ে গিয়েছিল এক বিশাল সেনাবাহিনী। পিছনে পড়েছিল অসহায় নারী ও পুরুষের দল। বিজয়ী পক্ষের ক্ষতিও হয়েছিল অপূরণীয়। সহযোদ্ধাদের মৃত্যুর পাশাপাশি সহ্য করতে হয়েছিল সাত পুত্র ও এক পৌত্রের নিধন। শেষে শ্মশানের লেলিহান শিখার সঙ্গে ভেসে বেড়ালো স্বজন হারানোর দীর্ঘশ্বাস। মহাকাব্যের ক্যানভাসে যুদ্ধকে নিয়ে এই আখ্যান অনেকটা প্রাচীন কাহিনি নির্ভর। মহাকাব্যের নিয়ম মেনে এর আখ্যান গড়ে উঠেছিল দ্বন্দ্ব সংঘাত, যুদ্ধ আর মহানায়কের ট্রাজিক মৃত্যুকে ঘিরে। আধুনিক যুগে সাহিত্যের সৃষ্টি ১৯ শতক থেকে। এর আগে ঘটে গিয়েছিল ঔপনিবেশিক সাম্রাজ্যবাদের বিস্তার। অষ্টাদশ শতাব্দী থেকেই পৃথিবীর শক্তিশালী দেশগুলির যুদ্ধলিপ্সা তীব্র চেহারা নেয়। সমুদ্রপথ খুঁজে নিয়ে বিভিন্ন মহাদেশে চলেছিল সম্পদ লুণ্ঠন আর উপনিবেশ স্থাপনের পালা। ইউরোপ এশিয়ার রাজতন্ত্রের গর্ভেই জন্ম নিচ্ছিল নতুন অত্যাচারী সামন্তশ্রেণি। বিভিন্ন দেশের অভ্যন্তরীন সংকট তৈরি করেছিল গৃহযুদ্ধের সম্ভাবনা। সামাজিক অবস্থার এমনই প্রেক্ষাপটে রাশিয়ায় লিউ টলস্টয় রচনা করেন তাঁর বিখ্যাত সৃষ্টি ‘ওয়ার অ্যান্ড পিস’।

Advertisement

১৮১২ সালে নেপোলিয়নের রাশিয়া আক্রমণের সময়কে ভিত্তি করে রচিত হয়েছিল তার এই সুবিশাল উপন্যাস। প্রকাশকাল ১৮৮৯ সাল। বারোশো পৃষ্ঠা জুড়ে এই উপন্যাসে চরিত্র সংখ্যা অগণিত। যুদ্ধ আক্রান্ত দেশের ব্যক্তি মানুষের হৃদয়ের আবেগ ও বেদনা, জীবনের হাহাকার, প্রেমের অন্তরঙ্গ বয়ানে এ উপন্যাস বিশ্ব সাহিত্যে এক অতুলনীয় সৃষ্টি। ঘটনার পর ঘটনার বিবরণে তিনি কোথাও যুদ্ধকে মহৎ করে দেখাননি। যুদ্ধক্লান্ত সমাজের চিত্রণে টলস্টয়ের চিন্তায় প্রকাশ পেয়েছে এক মহৎ রাষ্ট্র চেতনা।

Advertisement

প্রথম বিশ্বযুদ্ধ পৃথিবীর অসংখ্য লেখককে নাড়া দিয়েছিল। এরপর বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক মন্দা মানুষকে নতুন সংকট ও সংগ্রামের মুখোমুখি এনে দেয়। বিশ্বযুদ্ধের আবহে মানু নিজেদের আবিষ্কার করে আর এক যুদ্ধের মধ্যে। এই যুদ্ধ-আন্দোলিত সময়ের মধ্যে আর্নেস্ট হেমিংওয়ে লেখেন ‘এ ফেয়ারওয়েল টু আর্মস’। ১৯২৯ এ প্রকাশিত এই উপন্যাস হেমিংওয়ের সৈনিক জীবনের ফসল। যুদ্ধের ভয়াবহতা ও পরিণতি তার সামনে এনে দিয়েছিল এক নিঃসঙ্গ পৃথিবীকে। ‘আইসল্যান্ডস ইন দ্য স্ট্রিম’ উপন্যাসে যুদ্ধ অভিজ্ঞতাকে ঘিরে হেমিংওয়ে ফুটিয়ে তুলেছেন গভীর জীবনবোধ। এই মার্কিন ঔপন্যাসিক জীবনের অর্থ খুঁজেছেন যুদ্ধ আক্রান্ত সমাজের কঠিন বাস্তবতার মধ্যে। যে বাস্তবতার মধ্যে রূপায়িত হয়েছে যুদ্ধের মধ্যে ভয়ঙ্কর ভাবে বেঁচে থাকা মানুষের কাহিনি। জার্মান ঔপন্যাসিক এরিক মারিয়া রেমার্ক প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পটভূমিকায় রচনা করেছেন তাঁর অসামান্য উপন্যাস ‘অল কোয়ায়েট অন দ্য ওয়েস্টার্ন ফ্রন্ট। উপন্যাসে রয়েছে ধ্বংসের মধ্যে গড়ে ওঠা বন্ধুত্বের গল্প। কাহিনির মূল চরিত্র পল যুদ্ধে একে একে মারা যেতে দেখেছে তার সহযোদ্ধা বন্ধুদের। এক একটি মৃত্যুদৃশ্য তাঁর হৃদয়ের গভীরে গিয়ে আঘাত করে। দেখা গেছে খাদ্য, বাসস্থান দারিদ্রের তীব্র সঙ্কট। এখানে অভাবে মানুষ মৃত্যুশয্যাও চুরি করে নিয়ে যায়। মানবতার নিদারুন বিপর্যয় ফুটেছে রোমার্কের অল কোয়ায়েট অন দ্য ওয়েস্টার্ন ফ্রন্টে। স্পেনের অন্ধকারতম সময়ের প্রতিবাদী কবি ফেদেরিকো গার্সিয়া লোরকা। তাঁর কবিতায়, নাটকে আমরা পেয়েছি গৃহযুদ্ধ বিধ্বস্ত স্পেনের বিপ্লবের কথা। আমরা পেয়েছি গৃহযুদ্ধ ব্যাপৃত দক্ষিণ স্পেন, আন্দালুসিয়ার মানুষের জীবনের বৃত্তান্ত। অত্যাচারী ফ্রাঙ্কোর অপশাসনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী মিছিলে পাবলো পিকাসোর সঙ্গে পা মিলিয়েছিলেন লোরকা। ‘ব্লাক ওয়েডিং’, ‘ইয়েরমা’, দ্য হাউস অব বারনারদা আলবারের মতো কালজয়ী নাটক রচনা করেছিলেন লোরকা। নাটকের চরিত্রগুলি গৃহযুদ্ধ সমসাময়িক কাল থেকে তুলে আনা।

যুদ্ধ থেমে গেলেও যুদ্ধ থামে না। একটা যুদ্ধ সংঘাতের মধ্যে আর একটা সংঘাতের বীজ লুকিয়ে থাকে। ১৯১৪-র জুলাইতে শুরু হওয়া প্রথম বিশ্বযুদ্ধ থেমে ছিল ১৯১৮-র নভেম্বরে। মৃত্যু হয়েছিল দেড় কোটি মতো মানুষের। প্রথম বিশ্বযুদ্ধে জার্মানীর পরাজয় দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পথ খুলে দেয়। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের শেষে ১৯১৮-র ভার্সাই সন্ধির চুক্তির মধ্যে দিয়ে জার্মানীর ওপর চাপানো কঠোর শর্তাবলী দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধকে আরও এগিয়ে আনে। দীর্ঘ ছ’বছর ধরে চলা এই যুদ্ধ পৃথিবীতে এক নতুন পালা বদল ঘটায়। বিশ্বযুদ্ধে ফাসিস্ট জার্মানীর পতন এবং সমাজতান্ত্রিক রাশিয়ার বিজয়,পূর্ব ইউরোপ জুড়ে কম্যুনিস্ট রাজনীতির প্রতিষ্ঠা এক যুগান্তকারী ঘটনা। বিশ্বে রাজনীতির শিবির বিভাজন হয়ে যায় দু’ভাগে। একদিকে যুদ্ধবাজ সাম্রাজ্যবাদী শক্তি, আর একদিকে সোভিয়েত নিয়ন্ত্রিত সমাজতান্ত্রিক শিবির। শুরু দুই শক্তির ঠান্ডা লড়াই। বিশ্বরাজনীতির এই নতুন মেরুকরণে তৃতীয় বিশের দেশগুলিতে জাতীয় স্বাধীনতা আন্দোলন সোভিয়েত প্রভাবে আরও উৎসাহ পায়। দুই বিশ্বযুদ্ধ মধ্যবর্তীকালীন তিনটি দশক ছিল সভ্যতার সংকটময় কাল। সমাজ সংস্কৃতিতে এসে লাগছিল মানুষের স্বার্থপরতা অবিশ্বাসের ঢেউ। মানবজীবনের এই সংকট ও সংগ্রামের প্রভাব পড়েছে এ কালের সাহিত্যে। বিশ্ব সাহিত্যের আঙিনা পেরিয়ে তার ছায়াপাত দেখেছি আমাদের উপমহাদেশের সাহিত্যেও।

ইতালিয়ান কথা সাহিত্যিক আলবার্তো মোরাভিয়া দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পটভূমিতে লিখেছেন তাঁর কালজয়ী উপন্যাস ‘টু উইমেন’। মোরাভিয়ার কলম ইতালীর ফ্যাসিস্ট শাসক মুসোলিনীর বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেছিল। এই উপন্যাসে স্বৈরতন্ত্রের নৃশংসতার পাশাপাশি উঠে এসেছে যুদ্ধের কারণে মানুষের অসহনীয় দূর্ভোগের কথা। নারীদের জীবনে যুদ্ধের ভয়াবহতার অমানবিক দিক এমনভাবে দেখিয়েছেন যা পাঠকের হৃদয়কে ছুঁয়ে যায়। উপন্যাসে মোরাভিয়া এমন এক অসহায় মায়ের কথা শুনিয়েছেন যে নিজের মেয়েকে যুদ্ধ থেকে নিারপদে রেখেও তাকে অভিশপ্ত জীবন থেকে বাঁচাতে পারেনি। তাকে সারাজীবন থেকে যেতে হয় তার সন্তানের সঙ্গে ঘটে যাওয়া ভয়াবহ স্মৃতি নিয়ে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পটভূমিতে আইরিশ ঔপন্যাসিক জন বয়েনের লেখা হৃদয়স্পর্শী উপন্যাস ‘দ্য বয় ইন দ্য স্ট্রাইপস পাজামাস’। ১৯৪২ সাল। বিশ্বযুদ্ধের তখন মাঝামাঝি সময়। বার্লিনের ন বছরের কিশোর ব্রুনোর বাবা ছিলেন জার্মান সেনাবাহিনীর কর্নেল। তাদের বাড়ির পাশেই ইহুদী বন্দিদের কাঁটাতারের ক্যাম্প। তারের ওপারে তারই সমবয়সী সুমেলের সঙ্গে তার রোজ চোখাচোখি হয়। অপরাধ তারা ইহুদী। চোখের আলাপ থেকে মনের টান। তবু কেউ কাউকে ছুঁতে পারে না। বন্ধুকে ভালো লাগার টানে ব্রুনো একদিন সুমেলের দেওয়া বন্দিদের ডোরা কাটা পাজামা পরে বন্দিদের সঙ্গে মিশে যায়।

ব্রুনো ইহুদি ছেলের পোশাকে আবেগে ঢুকে পড়ে বন্ধুত্বের দরজা খুলে তার পরিণতি হয় জীবনের অবসানে হঠাৎ একদিন নাৎসীরা বন্দিদের নিয়ে গ্যাস চেম্বারে। যুদ্ধের আকাশে এখানেই বেজে ওঠে মানবতার জয়গান।
প্রথম বিশ্বযুদ্ধ পরবর্তী বাংলা সাহিত্যে জীবন ও বাস্তবতার দৃষ্টিভঙ্গীতে ব্যাপক পালাবদল ঘটে যায়। সময়ের প্রেক্ষাপট সাহিত্যে গুরুত্বপূর্ণ স্থান দখল করে নেয়। যুদ্ধোত্তর কালে বিশ্বব্যাপী আর্থিক মন্দা, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি, খাদ্যসংকট, ইংরেজের দমনমূলক আইন, দেশব্যাপী বিক্ষোভ আন্দোলন— সব মিলিয়ে জন সমাজে এনেছিল অস্থিরতা। জন্ম দিয়েছিল প্রচলিত মূল্যবোধ ও বিশ্বাসের প্রতি মানুষের হাতাশা। যদ্ধোত্তর কালের বিপর্যয় সবচেয়ে বেশি হতাশ করেছিল মধ্যবিত্ত মানুষ ও যুবমনকে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালীন ব্রিটিশের বিরুদ্ধে আগস্ট আন্দোল ছিল স্বাধীনতা সংগ্রামের শেষ বজ্রনির্ঘোষ। বিশ্বযুদ্ধের আঘাতে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদ তখন নানাভাবে জর্জরিত। এই সময় দু’শো বছরের ঔপনিবেশিক শাসনের শেষ সময়ের সুযোগ খুঁজছিল মানুষ। সমাজ আন্দোলনের অভিঘাত এ যুগের সাহিত্যকে স্পর্শ করেছিল। সীতনাথ ভাদুড়ী, সুবোধ ঘোষ, বনফুল, মনোজ বসু প্রমুখ লেখকরা এ যুগের প্রতিক্রিয়াকে ব্যক্ত করেছেন। তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘মন্বন্তর’ উপন্যাসে বিশ্বযুদ্ধ জনিত সমস্যা ও তার ফলে ঘনিয়ে আসা বাংলার দুর্ভিক্ষ সুস্পষ্টভাবে ফুটে উঠেছে।

নাগরিক জীবনে যুদ্ধ কীভাবে ভাঙন ধরায় তারই রূপায়ন মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘প্যানিক’ গল্প। যুদ্ধের ছবি ফুটে উঠেছে সুবোধ ঘোষের ‘কর্ণফুলির ডাকে’—নবেন্দু ঘোষের পলাতক নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়ের ‘মন্দাকান্তার’-কাহিনিতে। ‘বাঁধনহারা’ উপন্যাসে বিদ্রোহী নজরুল তাঁর সৈনিক জীবনের যুদ্ধ অভিজ্ঞতার সঙ্গে আমাদের পরিচয় করিয়েছিলেন। বরেন বসুর ‘রঙরুট’ উপন্যাস দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের জীবন্ত প্রতিচ্ছবি। উপন্যাসের কেন্দ্রীয় চরিত্র অমল যুদ্ধে যোগ দিয়ে তার প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতা বর্ণনা করেছেন। দেবেশ দাসের ‘রক্তরাগ’ উপন্যাসও বিশ্বযুদ্ধের প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতার ফসল।

বহুবছর আগে সংঘটিত হওয়া যুদ্ধও আজকের সাহিত্যের বিষয় হয়ে দাঁড়ায়। বিশ্বযুদ্ধ সভ্যতার পতনের যে শব্দ শুনিয়েছিল তার প্রতিধ্বনি আজও শোনা যায় পৃথিবীর নানা প্রান্তে। সুদীর্ঘ সময় ধরে চলেছে ফিলিস্তিনের মুক্তির লড়াই। মারণাস্ত্রের আঁচে প্রতিনিয়ত পুড়ে চলেছে গাজার জনবসতি। শেষ হয়ে যাচ্ছে একটা প্রজন্ম। রুক্ষ মৃত্যুভূমিতে অকুলান পড়ছে গণকবরের জায়গা এই দীর্ঘ যুদ্ধের ইতিহাসও লেখা থাকবে। সাহিত্যের পাতায় উঠে আসবে মানব বিপর্যয়ের ট্রাজেডি। কিন্তু সভ্যতার ভগ্নস্তূপের মধ্যেই থেকে যাবে উত্তরণের বীজ। ধ্বংসের মধ্যে থাকে বেঁচে ওঠার আকুতি। বিপর্যয় থেকে উত্তরণ, এই নিয়েই যুদ্ধের রিয়ালিটি। সেই রিয়ালিটি, ইতিহাসের সেই বাস্তবতা ধরা দেয় সাহিত্যের পাতায়।

Advertisement