আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল সংক্রান্ত একটি মামলার শুনানি থেকে সরে দাঁড়ালেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ। বৃহস্পতিবার আদালতে তিনি জানান, ইতিমধ্যেই একই ঘটনায় দায়ের হওয়া দু’টি মামলার শুনানি ডিভিশন বেঞ্চে চলছে। সেই প্রেক্ষিতেই তাঁর মতে, সংশ্লিষ্ট মামলাটিরও ডিভিশন বেঞ্চে শুনানি হওয়াই যুক্তিযুক্ত। বিচারপতি ঘোষ মামলাটির যাবতীয় নথিপত্র প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের কাছে পাঠানোর নির্দেশ দেন। বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ মন্তব্য করেন, ‘বিষয়টির গুরুত্ব ও প্রাসঙ্গিকতা বিচার করে তা ডিভিশন বেঞ্চে স্থানান্তর করা প্রয়োজন।’
উল্লেখ্য, আরজি কর কাণ্ডে নির্যাতিতার পরিবারের তরফে সিবিআই তদন্তে গাফিলতির অভিযোগ তুলে হাইকোর্টে মামলা করা হয়েছিল। এত দিন সেই মামলার শুনানি হচ্ছিল বিচারপতি ঘোষের এজলাসে। তবে বর্তমানে বিচারপতি দেবাংশু বসাকের নেতৃত্বাধীন ডিভিশন বেঞ্চে আরজি কর কাণ্ডের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে করা দু’টি মামলা বিচারাধীন। ফলে নতুন করে স্থানান্তরিত মামলাটিও সেখানেই যেতে পারে বলে ধারণা করছেন আইনজীবীরা। এই সিদ্ধান্তের ফলে, আরজি কর সংক্রান্ত মামলাগুলির শুনানির প্রক্রিয়া আরও সুসংহত হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
Advertisement
বুধবারই হাইকোর্টের বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ নির্যাতিতার পরিবারের আইনজীবী ফিরোজ এডুলজির কাছে এই ব্যাপারে পরিবারের সঙ্গে পরামর্শ করে আদালতে এসে জানাতে নির্দেশ দিয়েছিলেন। বৃহস্পতিবার পরিবারের পক্ষে আইনজীবী জানান, সমস্ত মামলা যেহেতু বিচারপতি দেবাংশু বসাকের ডিভিশন বেঞ্চে বিচারাধীন রয়েছে, তাই সেখানেই এই মামলার শুনানি হলে তাঁদের আপত্তি নেই। তারপরেই এদিন বিচারপতি ঘোষ মামলা ছেড়ে দেওয়ার কথা জানিয়েছেন।
Advertisement
উল্লেখ্য, ২০২৪ সালের ৯ আগস্ট আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ধর্ষণ করে খুন করা হয় কর্তব্যরত এক ট্রেনি- চিকিৎসককে। তাঁর মৃত্যুতে উত্তাল হয়ে ওঠে গোটা বাংলা। কয়েক ঘণ্টার মধ্যে সঞ্জয় রায় নামে এক সিভিক ভলান্টিয়ারকে গ্রেপ্তার করে কলকাতা পুলিশ। আদালতের নির্দেশে পরবর্তীতে তদন্তভার পায় সিবিআই। এখনও ধর্ষণ ও খুনের মামলায় সঞ্জয় রায় ছাড়া আর কেউ গ্রেপ্তার হননি। তবে সঞ্জয়কে দোষী সাব্যস্ত করেছে আদালত। সঞ্জয়কে আমৃত্যু কারাবাসের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে এই সাজায় আমজনতার পাশাপাশি খুশি নয় রাজ্যও।
Advertisement



