• facebook
  • twitter
Friday, 5 December, 2025

উত্তরাখণ্ডের লিপুলেখ নিয়ে নেপালের আপত্তি খারিজ করে দিল ভারত

কালাপানি অঞ্চলের বিতর্ক অবশ্য নতুন নয়। ১৮১৬ সালের সুগৌলি চুক্তির সময় থেকেই এই সীমান্তসংক্রান্ত বিরোধের সূত্রপাত।

প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র

উত্তরাখণ্ডের লিপুলেখ পাস নিয়ে নেপালের আপত্তিকে সরাসরি খারিজ করল ভারত। নয়াদিল্লির স্পষ্ট বক্তব্য, লিপুলেখ ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ এবং সেখানে সীমান্তবাণিজ্য পুনরায় শুরু করা বা রাস্তা সম্প্রসারণে কাঠমান্ডুর আপত্তির কোনও যৌক্তিক ভিত্তি নেই। যদিও কূটনৈতিক সমাধানের পথ খোলা আছে বলেও জানিয়েছে কেন্দ্র।

কয়েকদিন আগে নেপালের কেপি শর্মা ওলি সরকারের পক্ষ থেকে বিবৃতি দিয়ে দাবি করা হয়েছিল, সরকারি মানচিত্র অনুযায়ী লিপুলেখ, লিম্পিয়াধুরা এবং পূর্ব কালাপানি নেপালের সীমান্তের মধ্যে পড়ে। সেই দাবি ঘিরেই ভারত সরকারকে ওই এলাকায় রাস্তা নির্মাণ বা সীমান্তবাণিজ্য বন্ধ রাখার আর্জি জানানো হয়। এমনকি নেপাল বিষয়টি নিয়ে চিনকেও জানিয়েছে বলে দাবি করে কাঠমান্ডু।

Advertisement

এই বিবৃতির কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ভারতের বিদেশ মন্ত্রক স্পষ্ট ভাষায় জানায়, নেপালের অভিযোগ ‘অযৌক্তিক, অসমর্থনযোগ্য এবং অনৈতিহাসিক’। নয়াদিল্লির বিবৃতিতে বলা হয়, ‘আমাদের অবস্থান স্পষ্ট। ১৯৫৪ সাল থেকেই লিপুলেখ পাস ধরে ভারত ও চিনের মধ্যে সীমান্তবাণিজ্য চলছে। কোভিড এবং অন্য কিছু কারণে তা সাময়িকভাবে বন্ধ ছিল। এখন সেই বাণিজ্য ফের শুরু হবে।’

Advertisement

প্রসঙ্গত, ২০২০ সালে কৈলাস-মানস সরোবর যাত্রার জন্য লিপুলেখ পাস পর্যন্ত ৮০ কিলোমিটার দীর্ঘ রাস্তা নির্মাণ করেছিল ভারত। তখনও নেপাল একইভাবে সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলেছিল। সম্প্রতি চিনের বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই-এর ভারত সফরের সময় স্থির হয়, সীমান্তবাণিজ্য ফের শুরু হবে এবং সেই বাণিজ্যের প্রধান রুট হবে লিপুলেখ পাস। তার পরেই ফের আপত্তির সুর তোলে নেপাল।

তবে কালাপানি অঞ্চলের বিতর্ক অবশ্য নতুন নয়। ১৮১৬ সালের সুগৌলি চুক্তির সময় থেকেই এই সীমান্তসংক্রান্ত বিরোধের সূত্রপাত। চুক্তি অনুযায়ী কালী নদীকে ভারত-নেপালের সীমানা হিসেবে ধরা হলেও নদীর উৎসস্থল নিয়ে মতবিরোধ রয়ে গিয়েছে। নেপালের দাবি, নদীর উৎস লিম্পিয়াধুরায়, ফলে লিপুলেখ তাদের সীমার মধ্যে পড়ে। ভারতের বক্তব্য, নদীর উৎপত্তি কালাপানি গ্রামের এক প্রস্রবণ থেকে, যা উত্তরাখণ্ডের অংশ।

নয়াদিল্লির বার্তা স্পষ্ট— লিপুলেখ ভারতের অংশ, তাই কোনও আপত্তির তোয়াক্কা না করেই সেখানে পরিকল্পিত কাজ চলবে, তবে আলোচনার দরজা খোলা রেখেই এগোবে ভারত।

Advertisement