• facebook
  • twitter
Friday, 5 December, 2025

আগাম শর্ত না চাপালে পুতিনের সঙ্গে মুখোমুখি বৈঠকে রাজি জেলেনস্কি

সোমবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে হোয়াইট হাউসে বৈঠকের পরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট।

ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের আবহে শান্তি আলোচনায় নতুন সম্ভাবনার ইঙ্গিত। শীঘ্রই মুখোমুখি বৈঠকে বসতে পারেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এবং ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি। তবে সেই আলোচনায় কোনও আগাম শর্ত চাপানো চলবে না, এমনটাই সাফ জানিয়ে দিলেন জেলেনস্কি। সোমবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে হোয়াইট হাউসে বৈঠকের পরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট।

হোয়াইট হাউসের ওই বৈঠকে জেলেনস্কির সঙ্গে ছিলেন ইউরোপীয় নেতারাও। প্রথমে একান্ত বৈঠক সারেন ট্রাম্প ও জেলেনস্কি। পরে ফ্রান্স, জার্মানি, ব্রিটেন, ইটালি, ফিনল্যান্ডের রাষ্ট্রপ্রধানেরা এবং ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট ও নেটো প্রধান মিলিত হন এক আলোচনায়। বৈঠক চলাকালীনই পুতিনকে ফোন করেন ট্রাম্প। সূত্রের খবর, প্রস্তাব দেওয়া হয় এক ত্রিপাক্ষিক বৈঠকের (আমেরিকা–ইউক্রেন–রাশিয়া)। তবে তার আগে একটি দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে মুখোমুখি বসবেন জেলেনস্কি ও পুতিন।

Advertisement

জেলেনস্কি বলেন, ‘রাশিয়ার তরফে এই দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের প্রস্তাব এসেছে। আমি আলোচনায় বিশ্বাস করি। তবে শর্তসাপেক্ষ আলোচনা কোনও ফল দেবে না।’ তাঁর বক্তব্য, আগাম শর্ত চাপানো হলে উভয় পক্ষই পাল্টা শর্ত নিয়ে হাজির হবে, যা আলোচনা ব্যর্থ করতে পারে। তাই শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে নিঃশর্ত বৈঠকের পক্ষেই তিনি। যদিও ত্রিপাক্ষিক বৈঠকে তাঁর অংশগ্রহণ এখনও নিশ্চিত নয় বলে জানান জেলেনস্কি। দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের ফলাফলের উপরেই নির্ভর করবে তাঁর পরবর্তী পদক্ষেপ।

Advertisement

এদিকে, ইউরোপীয় নেতাদের বক্তব্যেও শান্তি আলোচনার প্রতি সমর্থন মিলেছে। জার্মান চ্যান্সেলর ফ্রেডরিখ মের্ৎজ বলেন, ‘যুদ্ধ থামাতে রাশিয়াকে অন্তত যুদ্ধবিরতির পথে আসতেই হবে।’ যদিও জেলেনস্কি এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করেননি। উল্লেখ্য, গত সপ্তাহেই আলাস্কায় পুতিনের সঙ্গে পৃথক বৈঠক করেছেন ট্রাম্প। সেই বৈঠকের পরে জেলেনস্কির সঙ্গেও ফোনে কথা বলেন তিনি। তখন থেকেই একটি ত্রিপাক্ষিক বৈঠকের সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছিল।

এখন পুতিন-জেলেনস্কির মুখোমুখি আলোচনার দিনক্ষণ এবং স্থান নিয়ে কৌতূহল চরমে। জার্মান চ্যান্সেলরের মতে, আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যেই এই বহুচর্চিত বৈঠক হতে পারে। যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউরোপ তাই আপাতত তাকিয়ে শান্তির আলোচনার দিকে।

Advertisement