মেদিনীপুরে ফুটবল মাঠে রেফারিকে মারধরের ঘটনায় রাজনৈতিক মহল যখন উত্তপ্ত, তার মধ্যেই দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড়ে ঘটল নতুন এক কাণ্ড। অভিযোগ উঠেছে, ‘খেলা হবে’ দিবসের অনুষ্ঠানে ফুটবল মাঠের ধারে এক স্কুলশিক্ষককে প্রকাশ্যে কিল-চড়-ঘুষি মেরেছেন শাসক দলের এক নেতা। ঘটনায় তোলপাড় শুরু হয়েছে গোটা এলাকায়। এই ঘটনায় গ্রেপ্তার হয়েছেন স্থানীয় তৃণমূলনেতার ভাইপো।
জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত খয়রুল ইসলাম ভাঙড়-২ পঞ্চায়েত সমিতির বন ও ভূমি কর্মাধ্যক্ষ। স্থানীয় মহলে তিনি ভাঙড়ের তৃণমূল বিধায়ক শওকত মোল্লার ঘনিষ্ঠ বলেই পরিচিত। আক্রান্ত শিক্ষক নাসিরউদ্দিন তাঁর বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ জমা দিয়েছেন। ঘটনায় ক্ষুব্ধ ছাত্রছাত্রীরা থানার সামনে বসে বিক্ষোভ দেখান।
Advertisement
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার ভাঙড়-২ ব্লক ও পঞ্চায়েত সমিতির উদ্যোগে কারবালা ময়দানে আয়োজিত হয়েছিল আন্তঃরাজ্য ফুটবল প্রতিযোগিতা। ফাইনালে ভগবান হাই স্কুল এবং হাতিশালা সরোজিনী হাই মাদ্রাসার মধ্যে খেলা চলছিল। সেই সময় মাঠে দুই দলের খেলোয়াড়দের মধ্যে বচসা বেঁধে যায়। ঠিক তখনই মাঠের বাইরে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। অভিযোগ, খয়রুল ইসলামের নেতৃত্বে কয়েকজন বহিরাগত হঠাৎ নাসিরউদ্দিন ও আরও কয়েকজন শিক্ষককে ঘিরে ধরে বেধড়ক মারধর শুরু করে।
Advertisement
অভিযোগপত্রে নাসিরউদ্দিন লিখেছেন, ‘খেলা চলাকালীন খয়রুল ইসলামের নেতৃত্বে কয়েকজন আমার মাথা ও মুখে আঘাত করে। আরও তিনজন শিক্ষককেও মারধর করা হয়। শুধু তাই নয়, ছাত্রছাত্রীদের ভয় দেখানো এবং গালিগালাজও করা হয়েছে।’
রাজনৈতিক মহলে প্রশ্ন উঠছে, একের পর এক ক্রীড়া মঞ্চে শাসকদলের নেতাদের বিরুদ্ধে এমন হিংসার অভিযোগে কী বার্তা যাচ্ছে সাধারণ মানুষের কাছে?
যদিও ইতিমধ্যে ঘটনার তদন্তে নেমেছে উত্তর কাশীপুর থানার পুলিশ। তবে এখনও পর্যন্ত অভিযুক্ত নেতা খয়রুল ইসলাম কিংবা তৃণমূলের স্থানীয় নেতৃত্বের কেউই এ বিষয়ে প্রকাশ্যে মুখ খোলেননি।
Advertisement



