• facebook
  • twitter
Friday, 5 December, 2025

ছাত্রভোট নিয়ে মামলার শুনানি ফের পিছোল

রাজ্যের কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে ছাত্র সংসদ নির্বাচন না হওয়া নিয়ে দায়ের হওয়া জনস্বার্থ মামলার শুনানি ফের পিছিয়ে গেল কলকাতা হাইকোর্টে।

ফাইল চিত্র

রাজ্যের কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে ছাত্র সংসদ নির্বাচন না হওয়া নিয়ে দায়ের হওয়া জনস্বার্থ মামলার শুনানি ফের পিছিয়ে গেল। বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সুজয় পাল ও বিচারপতি স্মিতা দাস দে-র ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে, আগামী ২৬ আগস্ট মামলাটি ফের শুনানির জন্য তোলা হবে। এদিন মামলায় রাজ্যের পক্ষের আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় আদালতের কাছে সময় চান। সেই আবেদনে সাড়া দিয়ে শুনানি পিছিয়ে দেয় আদালত। এর আগে ১ আগস্ট-এর শুনানিও স্থগিত হয়ে গিয়েছিল, কারণ সেই সময়ও রাজ্যের প্রধান আইনজীবী উপস্থিত ছিলেন না।

দীর্ঘদিন ধরে রাজ্যের কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে ছাত্র সংসদ নির্বাচন হয়নি। সেই বিষয়েই জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন আইনজীবী সায়ন বন্দ্যোপাধ্যায়। মামলায় অভিযোগ করা হয়, একাধিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বহুদিন ধরে ছাত্র সংসদের নির্বাচন হয়নি বা স্থগিত রয়েছে। অনেক প্রতিষ্ঠানে বর্তমানে কোনও ছাত্র সংগঠনই নেই। গত ১৭ জুলাই শুনানির সময় বিচারপতি সৌমেন সেন এবং বিচারপতি স্মিতা দাস দে-র ডিভিশন বেঞ্চ রাজ্যের অবস্থান জানতে চায়। সেই সময় রাজ্যের আইনজীবী জানান, বহু বিশ্ববিদ্যালয়ে এখনও স্থায়ী উপাচার্য নিযুক্ত হয়নি। পাশাপাশি তিনি দাবি করেন, ছাত্র সংসদ নির্বাচনের ক্ষেত্রে রাজ্যের ভূমিকা শুধুমাত্র বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা পর্যন্ত সীমাবদ্ধ।

Advertisement

আদালত সাফ জানিয়ে দেয়, রাজ্যকে আগে ছাত্রভোট সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে হবে। সেই বিজ্ঞপ্তির ভিত্তিতে আদালত পরবর্তী পদক্ষেপ বিবেচনা করবে। আদালত আরও নির্দেশ দেয়, রাজ্য এই বিষয়ে কী ভাবছে, তা আদালতের সামনে উপস্থাপন করতে হবে। এই প্রেক্ষাপটে হাইকোর্ট ইতিমধ্যেই নির্দেশ দিয়েছে, যেসব কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে বৈধ ছাত্র সংসদ নেই বা দীর্ঘদিন নির্বাচন হয়নি, সেখানে ‘ছাত্র সংসদ কক্ষ’ তালাবদ্ধ করে রাখতে হবে। কোনও ছাত্র সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের লিখিত অনুমতি ছাড়া ওই ঘরে প্রবেশ করতে পারবেন না। প্রয়োজন হলে লিখিতভাবে কারণ জানিয়ে অনুমতি নিতে হবে। আদালত স্পষ্ট করেছে, এই নির্দেশ শুধুমাত্র ছাত্র সংসদের নির্দিষ্ট কক্ষের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। পরবর্তী শুনানিতে রাজ্য সরকার কী ব্যাখ্যা দেয়, তার দিকেই এখন নজর শিক্ষা মহলের।

Advertisement

Advertisement