• facebook
  • twitter
Friday, 5 December, 2025

প্রতিবাদ মামলায় তৃণমূল সাংসদদের মুক্তি দিল দিল্লির আদালত

তৃণমূল নেতারা ২০২৪ সালের এপ্রিল মাসে সিবিআই, এনআইএ, ইডি এবং আয়কর বিভাগের মতো কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন।

প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র

নির্বাচন কমিশনের দপ্তরের সামনে প্রতিবাদ মামলায় বৃহস্পতিবার ১০ জন তৃণমূল নেতাকে মুক্তি দিল দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালত। এঁদের মধ্যে রয়েছেন বর্তমান রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ও’ ব্রায়েন, সাগরিকা ঘোষ ও সাকেত গোখলে।

প্রসঙ্গত নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও গত বছর দিল্লিতে ভারতের নির্বাচন কমিশনের (ইসিআই) দপ্তরের বাইরে একটি প্রতিবাদে অংশগ্রহণ করেন তৃণমূল সাংসদরা। তাঁদের নামে এফআইআর দায়ের করা হয়েছিল। আদালত সমস্ত অভিযুক্তদের জামিনের জন্য ১৬ জুলাই নির্ধারণের নির্দেশ দিয়েছিল। কিন্তু এদিন অতিরিক্ত প্রধান বিচারক নেহা মিত্তাল তাঁদের মুক্তির নির্দেশ দিয়েছেন। এর আগে, ১৩ মে আদালত অভিযুক্তদের জামিন দিয়েছিল। গত ৩০ এপ্রিল আদালত অভিযুক্তদের ব্যক্তিগত উপস্থিতি থেকে অব্যাহতি দিয়েছিল। তবে বিবেক গুপ্তর ক্ষেত্রে এটি প্রযোজ্য ছিল না। আদালত অভিযোগপত্রের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করে ২১ এপ্রিল অভিযুক্তদের সমন জারি করেছিল।

Advertisement

তৃণমূল নেতারা ২০২৪ সালের এপ্রিল মাসে সিবিআই, এনআইএ, ইডি এবং আয়কর বিভাগের মতো কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন। তৃণমূল কংগ্রেসের ১০ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল তাঁদের দাবি জানাতে নির্বাচন কমিশনের ফুল বেঞ্চের সঙ্গে সাক্ষাতের পর প্রতিবাদের কথা ঘোষণা করেছিলেন। তাঁদের অভিযোগ ছিল, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলি বিজেপি-নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলিকে হেনস্তা করছে।

Advertisement

দিল্লি পুলিশ অভিযোগ করেছিল, প্রয়োজনীয় অনুমতি ছাড়াই মামলায় অভিযুক্ত তৃণমূল কংগ্রেসের নেতারা গত বছর ৮ এপ্রিল নির্বাচন কমিশনের অফিসের প্রধান গেটের বাইরে জড়ো হয়েছিলেন। ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৪৪ ধারা কার্যকর থাকা সত্ত্বেও প্ল্যাকার্ড এবং ব্যানার নিয়ে প্রতিবাদ করেছিলেন। পুলিশ আরও অভিযোগ করেছিল, তাঁরা নিষেধাজ্ঞামূলক আদেশ সম্পর্কে অবগত করা সত্ত্বেও প্রতিবাদ চালিয়ে যান। এর  পর একটি এফআইআর দায়ের করা হয়েছিল। আজ তাঁদের সকলকে সেই অভিযোগ থেকে মুক্ত করা হল।

Advertisement