• facebook
  • twitter
Friday, 5 December, 2025

প্রতিকূল আবহাওয়ায় পাওয়া যাচ্ছে না ইলিশ, হতাশ মৎস্যজীবীরা

ট্রলারগুলি সমুদ্রে ফেরত যেতে পারছে না যেহেতু মাছ উঠছে না এবং ট্রলারের খরচ বহন করা যাচ্ছে না। মৎস্যজীবীরা এই কারণে হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়ছেন।

ইলিশের মরশুমে বাজারে দেখা দিয়েছে ইলিশের আকাল। ১৫ জুন থেকে সমুদ্রে ইলিশ মাছ ধরা শুরু করেছেন মৎস্যজীবীরা কিন্তু সেভাবে ইলিশ মাছ উঠছে না। একদম শুরুর দিকে দু’-একদিন ইলিশ মাছ উঠেছিল কিন্তু তারপর থেকে আর দেখা নেই ইলিশের। কিছু কিছু ট্রলার কয়েকটি ছোট ইলিশ তুললেও বড় ইলিশ সেভাবে পাওয়া যাচ্ছে না। ইলিশের মরশুমে ইলিশ মাছ না ওঠায় হতাশ হয়ে পড়েছেন দিঘার মৎস্যজীবীরা।

ইলিশ মাছের আকালের জন্য মূলত দায়ী অনুকূল আবহাওয়ার অভাব এবং সমুদ্র-দূষণ। শংকরপুর ও পেটুয়াঘাট বন্দর থেকে প্রায় আড়াই হাজার টলার সমুদ্রে পাড়ি দিয়েছিল ইলিশ তোলার আশায়। ২০১৬ সালের পর থেকে ইলিশ মাছ প্রচুর সংখ্যায় উঠছে না ঠিকই তবে ভোলা পমফ্রেট ইত্যাদি অন্য মাছ পাওয়া যায়। এবছর ইলিশ মাছের ঘাটতির সঙ্গে সঙ্গে অন্য মাছও সেরকমভাবে উঠছে না। এই কারণে মাছ ব্যবসায়ীদের মাথায় হাত পড়েছে।

Advertisement

মৎস্যজীবীরা জানিয়েছেন যে মাত্র ৭ থেকে ১০ দিনের জন্য সমুদ্রে ট্রলার নিয়ে মাছ ধরতে যাওয়ার খরচ লক্ষাধিক টাকা, সেখানে এভাবে মাছের আকাল দেখা দিলে এই বিপুল পরিমাণ খরচ বহন করা অসাধ্য হয়ে দাঁড়াচ্ছে। দিঘা ফিশারম্যান অ্যান্ড ফিশ ট্রেডার্স অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক শ্যামসুন্দর দাস জানিয়েছেন যে, প্রথমের দিকে ১৫ টন ইলিশ মাছ উঠেছিল, কিন্তু তারপর থেকে আর মাছের দেখা নেই। আবহাওয়া প্রতিকূল থাকায় ট্রলারগুলিকে ফিরে আসতে হয়েছে। ট্রলারগুলি সমুদ্রে ফেরত যেতে পারছে না যেহেতু মাছ উঠছে না এবং ট্রলারের খরচ বহন করা যাচ্ছে না। মৎস্যজীবীরা এই কারণে হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়ছেন।

Advertisement

Advertisement