বিহারের ভোটার তালিকা সংশোধনের জন্য গ্রহণযোগ্য পরিচয়পত্র হিসেবে তালিকা থেকে আধার কার্ড বাদ দেওয়া নিয়ে বিতর্ক চলছেই। ইউনিক আইডেন্টিফিকেশন অথরিটি অফ ইন্ডিয়া তথা ইউআইডিএআই-এর সিইও ভুবনেশ কুমার স্পষ্ট বলেছেন যে, আধার কখনোই প্রধান পরিচয়পত্র নয়। বিহারের প্রায় আট কোটির ভোটার তালিকা থেকে অযোগ্য নামগুলি সরিয়ে দেওয়া এবং শুধু যোগ্য নাগরিকদের অন্তর্ভুক্ত করার প্রক্রিয়া শুরু করে নির্বাচন কমিশন। ২৪ জুন কমিশনের এই নির্দেশের পর লক্ষ্য ছিল ২৫ জুলাইয়ের মধ্যে ভোটার তালিকা সংশোধনের কাজ শেষে করা। তারই মাঝে নির্বাচন কমিশনের এই নির্দেশিকা নিয়ে বিতর্কের ঝড় উঠেছে। নাগরিকত্বের প্রমাণ হিসেবে ভোটার কার্ড এবং আধার কার্ড গ্রহণযোগ্য কেন নয় সেই প্রশ্ন তুলেছে সাধারণ জনতা থেকে শুরু করে বিভিন্ন বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি।
বিহারে বিধানসভা ভোট আসন্ন। তার আগেই সেই রাজ্যের ভোটার তালিকা সংশোধন করার নির্দেশিকা জারি করেছে কমিশন। নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, ভোটার তালিকায় যাঁদের নাম রয়েছে, তাঁদের নাগরিকত্বের প্রমাণ দিতে হবে। প্রামাণ্য নথি হিসেবে আধার কার্ড বা রেশন কার্ড গৃহীত হবে না। শুধুমাত্র বয়সের শংসাপত্র, বোর্ডের অ্যাডমিট কার্ডের মতো নথিই গ্রহণযোগ্য হবে। কমিশনের যুক্তি, গোটা দেশে যেভাবে আধার কার্ডকে ঘিরে জালিয়াতি চক্র বাসা বেঁধেছে, তার জেরেই এই নির্দেশিকা। কমিশনের এই নির্দেশে বহু যোগ্য ভোটারের নাম বাদ পড়ার আশঙ্কাও তৈরি হয়েছে। ফলে চিন্তায় পড়েছে রাজনৈতিক দলগুলি।
Advertisement
ভারতীয় নাগরিকদের জন্য ‘আধার’ তৈরি করে থাকে ইউআইডিএআই। একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এই সংসথার প্রধান ভুবনেশ কুমার দাবি করেন, জাল ‘আধার কার্ড’ চিহ্নিত করতে বিশেষ ব্যবস্থা নিচ্ছে ইউআইডিএআই কর্তৃপক্ষ। তিনি আরও উল্লেখ করেছেন, কিউআর কোডের মাধ্যমে আধার কার্ড সুরক্ষিত। তবে তিনি এও জানান, ফোটোশপ ব্যবহার করে আধার কার্ড নকল করা হয়েছে, এমন ঘটনাও সামনে এসেছে।
Advertisement
Advertisement



