স্কুলের পর টিফিন সেরে দ্বারকেশ্বর নদে স্নান করতে নেমেছিল নবম শ্রেণির তিন ছাত্র। মঙ্গলবার বৃষ্টির কারণে দ্বারকেশ্বরে জলস্তর বেশি ছিল। সঙ্গে ছিল জলের তীব্র স্রোত। আর তাতেই তলিয়ে যায় তারা। সায়ন চট্টোপাধ্যায়, অর্কদীপ দাস, পরমেশ্বর মিশ্র নামের বিষ্ণুপুর হাই স্কুলের তিন ছাত্র জলে নেমেছিল। ঘটনার প্রায় ১৮ ঘন্টা পর দুই ছাত্রের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তৃতীয় ছাত্রটির দেহ উদ্ধারের চেষ্টায় দিনভর তল্লাশি চালাচ্ছে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। মৃতদের পরিবার কান্নায় ভেঙে পড়েছে।
জানা গিয়েছে, বিষ্ণুপুর হাইস্কুলে নবম শ্রেণিতে পড়ত সায়ন চট্টোপাধ্যায়, অর্কদীপ দাস এবং পরমেশ্বর মিশ্র। মঙ্গলবার স্কুল ছুটির পর তাঁরা নদের পাড়ে গিয়েছিল। সেখানে ষাঁড়েশ্বর শিবমন্দির লাগোয়া সুভাষপল্লি ঘাটে বসে তারা কিছুক্ষণ সময় কাটায়, টিফিন খায়। এরপর স্নান করবে বলে পাড়ে ব্যাগ, জামা কাপড় রেখে তারা জলে নামে। বৃষ্টির জন্য জলের পরিমাণ বেশি ছিল। কিছু সময়ের মধ্যে জলের স্রোতে তারা ভেসে যায়। অন্যান্য বন্ধুরা তৎক্ষণাৎ এলাকার লোকজনকে বিষয়টি জানায়। ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছায়। এরপর বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী দ্বারকেশ্বর নদে নেমে তল্লাশি শুরু করে। মঙ্গলবার পর্যন্ত দেহ মেলেনি।
Advertisement
বুধবার সকাল থেকে ফের তল্লাশি শুরু হয়। সিভিল ডিফেন্সের আসানসোলের সাত নম্বর ব্যাটেলিয়ানও সক্রিয় হয়। স্পিড বোট নামিয়ে খোঁজ চলে। অবশেষে ঘটনাস্থল থেকে প্রায় দুই কিলোমিটার দূরে দমদমা ও বসন্তপুর ঘাট থেকে দুই ছাত্র অর্কদীপ দাস এবং পরমেশ্বর মিশ্রের দেহ উদ্ধার হয়। অপরদিকে সায়নের দেহের খোঁজে তল্লাশি চলছে।
Advertisement
Advertisement



