আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত সঞ্জয় রায়কে যাবজ্জীবন (আমৃত্যু) কারাবাসের সাজা দিয়েছে শিয়ালদহ আদালত। সেই নির্দেশের বেশ কয়েক মাস পরে নতুন করে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেন নির্যাতিতা চিকিৎসকের পরিবার।
সোমবার নির্যাতিতার পরিবারের তরফে কলকাতা হাইকোর্টে একটি আবেদন করেন তাঁদের আইনজীবী ফিরোজ এডুলজি। বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের বেঞ্চের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তিনি। আবেদনে জানানো হয়, একবার ‘প্লেস অফ অকারেন্স’ বা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করতে চান ওই চিকিৎসকের বাবা, মা এবং তাঁদের আইনজীবী। ঘটনাস্থল পরিদর্শনের অনুমতি পেতে জরুরি ভিত্তিতে শুনানির আবেদন করা হয়েছে। নিহত চিকিৎসকের বাবা ও মায়ের আবেদন, তাঁরা একবার ঘটনাস্থল সরেজমিনে দেখতে চান। আগামী বৃহস্পতিবার বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের বেঞ্চে মামলাটির শুনানি হতে পারে।
Advertisement
আরজি কর-কাণ্ডে একজনই জড়িত? না কি আর কেউ এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত রয়েছেন? আবেদনের শুনানিতে সেই প্রশ্নই উঠে আসে কিছুদিন আগে। বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষও সেই প্রশ্ন তুলেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, ‘এটি গণধর্ষণ, না কি নয়, তা আদালতের কাছে স্পষ্ট করুক সিবিআই।’ আরজি কর মামলায় সিবিআইকে কেস ডায়েরি জমা দেওয়ার নির্দেশও দেন বিচারপতি।
Advertisement
এর আগে বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের বেঞ্চেই নির্যাতিতার বাবা-মায়ের তরফে সিবিআই তদন্তে অসন্তোষ প্রকাশ করে আবেদন জানানো হয়েছিল। মেয়ের মৃত্যুর জন্য প্রকৃত যাঁরা দোষী, তাঁদেরকে সিবিআই এখনও ধরতে পারেনি বলে দাবি করেছিল পরিবার। নির্যাতিতার সিএফএসএল রিপোর্টে একের অধিক ডিএনএ-র নমুনা পাওয়া গেলেও সেটাকে সিবিআই গুরুত্ব দেয়নি বলেও অভিযোগ তোলা হয়েছিল পরিবারের তরফে। সেই বিষয়টিও এখন বিচারাধীন রয়েছে বিচারপতি ঘোষেরই বেঞ্চে।
২০২৪-এর আগস্ট মাসে আরজি করের এক তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনা ঘটে। গত বছর ১৩ আগস্ট মামলার তদন্তভার দেওয়া হয় সিবিআইয়ের হাতে। ২৫ সদস্যের সিবিআই টিম তৈরি হয় তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের তদন্ত করতে। ২০২৪ সালের ১১ নভেম্বর শিয়ালদহ কোর্টে শুরু হয় ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার বিচার। শিয়ালদহ আদালত সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়কে দোষী সাব্যস্ত করে আজীবন কারাদণ্ডের সাজা দেয়।
Advertisement



