এবার জি-৭ সম্মেলনের আয়োজক দেশ কানাডা। তাঁদের আহ্বানে সেখানে ১০ ঘন্টা কাটালেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এই দশ ঘন্টায় তিনি বিভিন্ন দেশের সঙ্গে ১২টি জরুরি বৈঠক সেরেছেন। বিশ্বের বিভিন্ন রাষ্ট্রনেতাদের সঙ্গে একান্তে এই বৈঠক করেছেন তিনি। আলোচনায় উঠে এসেছে সেইসব দেশের সঙ্গে বিভিন্ন বিষয়। পাশাপাশি মার্ক কার্নে কানাডার নতুন প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর ভারতের সঙ্গেও নতুন করে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে উঠতে শুরু করেছে। এই সম্মেলনে সেই সম্পর্ককে আরও একধাপ এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার বার্তা দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। মোদীর সেই বার্তাকে উষ্ণ সমর্থন জানিয়েছেন মার্ক কার্নে।
জানা গিয়েছে, জি-৭ এর সদস্য দেশ না হওয়া সত্ত্বেও প্রথা মতো আয়োজক দেশ কানাডার আমন্ত্রণে এই সম্মেলনে যোগ দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এদিন দিনভর সেখানে একাধিক রাষ্ট্রনেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাক্রোঁ, ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টার্মার, ইটালির প্রধানমন্ত্রী জর্জি মেলোনি, অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজ়, দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসা, জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিগেরু ইশিবা-সহ বিভিন্ন রাষ্ট্রপ্রধানের সঙ্গে আলাদা আলাদা করে বৈঠক করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এরই মাঝে ভারতের সঙ্গে কানাডার সম্পর্কে নতুন মাত্রা যোগ হয়েছে এই সম্মেলনে, যা আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক মহলে যথেষ্ট চর্চায় উঠে এসেছে।
Advertisement
প্রসঙ্গত পূর্বে খলিস্তানি প্রসঙ্গ নিয়ে কানাডার পূর্বতন প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর সময়ে দুই দেশের সম্পর্ক তলানিতে গিয়ে পৌঁছয়। খলিস্তানি বিচ্ছিন্নতাবাদে কানাডার মদত ঘিরে নয়াদিল্লি এবং অটোয়ার এই কূটনৈতিক সম্পর্কের অবনতি ঘটে। কিন্তু জাস্টিন ট্রুডো ক্ষমতা থেকে চলে যেতেই দুই দেশের সম্পর্ক নতুন করে জোড়া লাগানোর চেষ্টা করেন নবনির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নে। জি-৭ সম্মেলনে সেই সম্পর্ক আরও মজবুত হয়েছে। এমনটাই দাবি করেছে দুই দেশই একে অপরের রাজধানীতে হাইকমিশনারদের পুনরায় নিয়োগে সম্মত হয়েছে।
Advertisement
Advertisement



