বৃহস্পতিবার ইজরায়েল হামলা চালানোর পর পাল্টা তেল আভিভে প্রত্যাঘাত হেনেছে ইরান। এরপরই ইজরায়েলকে সাহায্য করা বন্ধ না করলে ব্রিটেন, আমেরিকা এবং ফ্রান্সের সামরিক ঘাঁটিতেও হামলা চালানো হবে বলে তেহরান হুঙ্কার দিয়েছে। ফলে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের আশঙ্কা তীব্র হচ্ছে।
প্রসঙ্গত বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে ইরানের সামরিক ঘাঁটি এবং একাধিক পরমাণু কেন্দ্র হামলা চালায় ইজরায়েলের সেনাবাহিনী। এই হামলায় মৃত্যু হয়েছে ইরানের সেনা প্রধানের। সেই সঙ্গে নয়জন পরমাণু বিজ্ঞানীরও মৃত্যু হয়েছে বলে সূত্রের খবর। এই অভিযানের পোশাকি নাম ‘অপারেশন রাইজিং লায়ন’। এই হামলায় ক্ষুব্ধ হয় ইরান। শুক্রবার পাল্টা আক্রমণ শুরু করে তারা। ফলে দফায় দফায় আক্রমণ ও পাল্টা আক্রমণে দুই দেশের আকাশপথে আগ্নেয়াস্ত্রের ঝলকানি লক্ষ্য করা যায়। একাধিক বিস্ফোরণের খবর পাওয়া যায় তেহরান, তেল আভিভ ও জেরুজালেমে। ইজরায়েলি হানায় ইরানের ৭৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। জখম হয়েছেন আরও ৩২০ জনেরও বেশি। ক্ষতি হয়েছে পরমাণু কেন্দ্রেরও। ইরানের পাল্টা হানায় চার ইজরায়েলির মৃত্যু হয়েছে। এরপরই ইরানকে হুঁশিয়ারি দিয়েছে ইজরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী। অবিলম্বে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা বন্ধ না হলে ইরানকে তছনছ করে দেওয়ার হুমকি দিয়েছেন তিনি।
Advertisement
তবে ইজরায়েলের সেই হুঙ্কারে পিছপা হচ্ছে না ইরান। পাল্টা গুরুত্বপূর্ণ হরমুজ প্রণালী বন্ধ করে দিয়েছে ইরান। এই ঘটনার জেরে রীতিমতো উদ্বেগ বেড়েছে আন্তর্জাতিক মহলে। তারা জানিয়ে দিয়েছে, পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এই পথে কোনও জাহাজ চলতে পারবে না।
Advertisement
উল্লেখ্য, বিশ্ব বাণিজ্যের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি সমুদ্রপথ হল হরমুজ প্রণালী। এটি ওমান উপসাগরের সঙ্গে পারস্য উপসাগরের সংযোগ ঘটিয়েছে। এই প্রণালীটির প্রস্থ খুব বেশি নয়। সংকীর্ণ এই চ্যানেল দিয়েই প্রতিদিন বিশ্বের মোট সমুদ্রপথে পরিবাহিত তেলের প্রায় ২০ শতাংশ পরিবহণ করা হয়। যে কারণে এই জলপথ বিশ্ব অর্থনীতির ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ।
Advertisement



