নয়া অধ্যাদেশকে ‘দমনমূলক’ আখ্যা দিয়ে সরকারকে অবিলম্বে সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসার আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশের সরকারি কর্মচারিরা। দাবিপূরণ না-হলে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন এই সরকারি কর্মচারীরা। আন্দোলনের জেরে চরম অস্বস্তিতে পড়েছে বাংলাদেশের ইউনূস সরকার। টানা চার দিন ধরে ঢাকায় সরকারি সচিবালয়ের ভিতর বিক্ষোভ মিছিল করে আসছেন বিভিন্ন দপ্তর এবং বিভাগের কর্মচারীরা। মঙ্গলবারও এই কর্মসূচির ডাক দেন তাঁরা। এদিনও সকাল থেকে সচিবালয়ের ভিতরে সেখানকার কর্মচারী ছাড়া কাউকে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। এমনকি সাংবাদিকরাও ঢোকার অনুমতি পাননি। এদিন সচিবালয়ের মূল প্রবেশপথের সামনে মোতায়েন করা হয় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ বিজিবি এবং বিশেষ বাহিনী সোয়াটকে। কড়া নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয় সচিবালয়, ইউনূসের সরকারি বাসভবন ‘যমুনা’ এবং সংলগ্ন এলাকা। এই এলাকায় মিটিং-মিছিল, সভা করা নিষিদ্ধ করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ।
সরকারের সংস্কারমূলক পদক্ষেপ ও নির্বাচনী সময় নিয়ে বিতর্কের জেরে পদত্যাগ করতে পারেন ইউনূস সরকার এমন সম্ভাবনা দেখা দেয়। যার ফলে দেশের রাজনীতি আরও অস্থির হয়ে ওঠে। যদিও ইউনূস সরকারের পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেছেন, প্রধান উপদেষ্টা পদত্যাগ করছেন না।তিনি আরও বলেন, আমরা আমাদের দায়িত্ব শেষ না করে কোথাও যাব না। ইউনূস সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। ইউনূস বলেছেন, ২০২৬ সালের জুনের মধ্যেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। অন্যদিকে ডিসেম্বরের মধ্যেই নির্বাচনের ওপর জোর দিয়েছে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল ।সেনার তরফেও দ্রুত নির্বাচন ঘোষণার কথা বলা হয়।