শহরের রুফটপ রেস্তরাঁগুলির নিরাপত্তা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখতে পরিদর্শন করবে কলকতা পুরসভা, কলকাতা পুলিশ, দমকল বিভাগ ও রাজ্য আবগারি দপ্তর। সম্প্রতি সেই সিদ্ধান্তই নেওয়া হয়েছে। মেছুয়া অগ্নিকাণ্ডে ১৪ জনের মৃত্যুর পর রুফটপ রেস্তরাঁর নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করতে উদ্যোগী পুরসভা।
শহরের প্রচুর বিলাসবহুল রুফটপ রেস্তরাঁ রয়েছে। এর মধ্যে অনেক রেস্তরাঁই আইনি ও অগ্নিনির্বাপণ শর্ত না মেনে চালানো হচ্ছে বলে বিভিন্ন সময়ে অভিযোগ উঠেছে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ছাদের উপর অবৈধ নির্মাণের অভিযোগ সামনে এসেছে। পুরসভার আধিকারিকদের অভিযোগ, পর্যাপ্ত সিঁড়ি বা লিফটের ব্যবস্থা না থাকায় আপতকালীন পরিস্থিতিতে সমস্যায় পড়তে পারেন গ্রাহক ও কর্মীরা। একাধিক রুফটপ রেস্তরাঁতে তো অগ্নিনির্বাপণ যন্ত্র অচল অবস্থায় রয়েছে। কিন্তু তার পরেও হেলদোল নেই কর্তৃপক্ষের। এই সব অভিযোগের ভিত্তিতে, মেছুয়া কাণ্ডের পর শহরের সমস্ত রুফটপ রেস্তরাঁ সাময়িকভাবে বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা পুরসভা। কিন্তু সেই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন রেস্তরাঁ মালিকরা।
Advertisement
কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি গৌরাঙ কান্ত দুই সপ্তাহের জন্য রুফটপ রেস্তরা বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। তবে তিনি এ–ও জানিয়ে দিয়েছেন এই সময়ের মধ্যে রেস্তরাঁ ভাঙার কাজ করা যাবে না। পাশাপাশি এই সময়ের মধ্যে পুরসভাকে হোটেল মালিকদের বক্তব্য শুনতে হবে। কলকাতা হাই কোর্টে হোটেল মালিকরা সাময়িক স্বস্তি পেলেও নির্দেশ দেওয়া হয়, প্রত্যেকটি রেস্তরাঁকে নিরাপত্তা সংক্রান্ত শর্ত মানতে হবে। এরপরই রেস্তরাঁগুলি পরিদর্শনের সিদ্ধান্ত নেয় পুরসভা। ফায়ার লাইসেন্স, আবগারি লাইসেন্স, অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা, বৈধ নির্মাণ, জরুরি নির্গমনের সিঁড়ি ও লিফ্ট ইত্যাদি বিভিন্ন দিক খতিয়ে দেখা হবে। এই সব প্রাথমিক শর্ত পূরণ করতে না পারলে সংশ্লিষ্ট রেস্তরাঁর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। কলকাতা পুরসভার সঙ্গে মিলিতভাবে কলকাতা পুলিশ, দমকল ও আবগারি দপ্তর এই প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করবে। এই পরিদর্শনের ভিত্তিতে একটি রিপোর্ট তৈরি করে তা হাইকোর্টে জমা দেবে কলকাতা পুরসভা। পরিদর্শনের পর প্রতিটি রেস্তরাঁকে একটি নির্দিষ্ট সময়সীমা দেওয়া হবে। সেই সময়ের মধ্যে নিরাপত্তাজনিত প্রয়োজনীয় শর্ত পূরণ করতে হবে। তবে তা না হলে রেস্তরাঁটি বন্ধ পর্যন্ত করে দেওয়া হতে পারে।
Advertisement
Advertisement



