পাঁচ লক্ষ টাকার মাদক সহ এক মহিলা চিকিৎসক গ্রেপ্তার। ধৃতের নাম নম্রতা চিগুরুপতি। হায়দরাবাদের একটি হাসপাতালের সিইও ছিলেন তিনি। পুলিশ সূত্রে খবর, মুম্বইয়ের এক পাচারকারীর থেকে পাঁচ লক্ষ টাকার মাদক কিনেছিলেন নম্রতা। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে তাঁর বাড়িতে তল্লাশি চালায় পুলিশ। তখনই সেই মাদক উদ্ধার হয়। গ্রেপ্তার হওয়ার সময় তাঁর এবং ডেলিভারি কর্মীর কাছে ৫৩ গ্রাম কোকেন ছিল বলে অভিযোগে বলা হয়েছে।
মুম্বইয়ের পাচারকারী বংশ ধাক্করের কাছ থেকে মাদক কিনেছিলেন নম্রতা। ধাক্কারের এক সহযোগীকেও হাতেনাতে ধরে ফেলে পুলিশ। রায়দুর্গমে চিকিৎসকের বাড়িতে মাদক পৌঁছে দেওয়া হয়। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, ওই ব্যক্তি নিয়মিত মাদক দেন চিকিৎসককে। মাদক কিনতে নম্রতা গত কয়েক মাসে ৭০ লক্ষ টাকা খরচ করেছেন। তিনি মাদক সেবন করতেন, না কি পাচার করতেন, তা জানতে তদন্ত হয়েছে।
Advertisement
তদন্তকারী আধিকারিক বেঙ্কান্না জানিয়েছেন, দীর্ঘদিন থেকেই পুলিশের নজরে ছিলেন ওই চিকিৎসক। হোয়াটস অ্যাপে পাচারকারীর সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন নম্রতা। পাঁচ লক্ষ টাকার মাদকের বরাত দেন তিনি। তার পর মাদকের টাকা অনলাইনে পাচারকারীকে পাঠান চিকিৎসক। মে মাসের ৪ তারিখ ৫ লক্ষ টাকা পাঠান তিনি। পুলিশ জানিয়েছে, ৫৩ গ্রাম কোকেনের পাশাপাশি পুলিশ তাঁদের কাছ থেকে ১০ হাজার টাকা নগদ এবং দুটি মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করেছে।
Advertisement
পুলিশ কোকেনের নমুনা সংগ্রহ করেছে এবং সেটি বিশ্লেষণ ও পরীক্ষা করার জন্য তেলেঙ্গানা ফরেনসিক সায়েন্স ল্যাবরেটরিতে (এফএসএল) পাঠিয়েছে। রায়দুর্গম পুলিশ আরও একটি ব্যক্তিকে খুঁজছে, যিনি স্থানীয় মাদক ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিত। প্রসঙ্গত, ২০২৪-এর এপ্রিল থেকে ২০২৫-এর মার্চ পর্যন্ত, ডিআরআই-এর মুম্বই ইউনিট ১২টি আলাদা কেসে ১৮০ কোটি টাকা মূল্যের ১৮ কেজিরও বেশি মাদক বাজেয়াপ্ত করেছে।
Advertisement



