গ্রীষ্মকালে শহরে জরুরি ভিত্তিতে পানীয় জলের জোগান আরও দ্রুত ও সুনিয়ন্ত্রিত করতে উদ্যোগ নিল কলকাতা পুরসভা। ট্যাঙ্কার-বাহিত জল সরবরাহ পরিষেবাকে আরও কার্যকর করতে গোটা শহরকে ১২টি জোনে ভাগ করা হয়েছে। পাশাপাশি, পরিষেবায় স্থায়িত্ব আনতে তিন বছরের একটি নতুন অপারেশনাল কন্ট্রাক্ট চালু করছে পুরসভা।
পুরসভার জলের বিভাগ সূত্রে খবর, বর্তমানে ১৩০টি ট্যাঙ্কার ব্যবহার করে শহরের বিভিন্ন প্রান্তে জরুরি জল সরবরাহ করা হয়। তবে পরিষেবা চালাতে গিয়ে দু’টি বড় চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছিল পুরসভা| পরিবহণ দপ্তরের একটি নির্দেশিকায় জানানো হয়, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে একাধিক পুরনো গাড়ির মেয়াদ শেষ হয়ে গিয়েছে। তার উপরে শহরে জল ভরার নির্দিষ্ট পয়েন্টের সংখ্যাও খুব কম ছিল।
Advertisement
এই পরিস্থিতি সামাল দিতে নতুনভাবে বেশ কিছু ‘ওয়াটার ফিলিং পয়েন্ট’ তৈরি করেছে পুরসভা, যাতে অল্প সময়ে জলভর্তি করে দ্রুত গন্তব্যে পৌঁছানো যায়। পুরসভা জানিয়েছে, তিন বছরের অপারেশনাল কন্ট্রাক্ট চালু হলে পরিষেবায় স্থায়িত্ব ও ধারাবাহিকতা বজায় থাকবে। পাশাপাশি, ভবিষ্যতে ট্যাঙ্কারের সংখ্যা বাড়ানোর পরিকল্পনাও রয়েছে।
Advertisement
এতদিন ১১ জন তালিকাভুক্ত ঠিকাদারের মাধ্যমে প্রতি ট্রিপে ৩৯৫ টাকায় জল সরবরাহ করা হত। কিন্তু ২০২৪ সালের ১৪ জানুয়ারি একটি বাজার সমীক্ষায় দেখা যায়, বর্তমান বাজার দর ও শ্রমমূল্য অনুযায়ী প্রতি ট্রিপের নতুন ভিত্তিমূল্য ৬৬৫ টাকা করা হয়েছে। নতুন ব্যবস্থায় পরিষেবা আরও দ্রুত এবং নির্ভরযোগ্য হবে বলে আশাবাদী পুর কর্তৃপক্ষ। পাশাপাশি, পরিষেবার মান ও চুক্তির শর্ত রক্ষা হচ্ছে কি না, তা নজরদারি করতে বিশেষ মনিটরিং ব্যবস্থাও চালু করা হবে।
Advertisement



