মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দিঘায় ২০১৮ সালে পুরীর আদলে জগন্নাথ মন্দির তৈরির কথা ঘোষণা করেছিলেন। মন্দিরের বিশদ প্রকল্প প্রতিবেদন ২০১৯ সালের আগস্ট মাসের মধ্যে সম্পন্ন হয়েছিল। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ২০১৯ সালের ২০ আগস্ট ঘোষণা করেছিলেন যে মন্দিরের নির্মাণ দুই বছরের মধ্যে শেষ হবে। সমুদ্রের ধারে দিঘাস্থিত পুরনো জগন্নাথ মন্দিরের জায়গাতেই নতুন মন্দির গড়ার কথা বলা হয়েছিল।
তবে পরিবেশগত নিষেধাজ্ঞায় সেখানে মন্দির নির্মাণ করা যায়নি। পরে দিঘা স্টেশনের পাশে মন্দির তৈরির জন্য জমি নির্বাচন করা হয়েছিল। দিঘা-শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদ মন্দিরের জন্য ২০ একর জমি প্রদান করেছিল। মন্দির নির্মাণের দায়িত্ব হিডকোকে দেওয়া হয়। রাজ্য সরকারের উদ্যোগে জগন্নাথ মন্দির নির্মাণ কাজের সূচনা শুভ অক্ষয়তৃতীয়া তিথিতে করা হয়েছিল। নির্মাণ কাজের ব্যয় হিসাবে ২০০ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছিল। প্রায় ২২ একর জমির উপর প্রায় ২০০ কোটি টাকা খরচে পুরীর জগন্নাথের মন্দিরের আদলে তৈরি এই মন্দির।
Advertisement
মন্দিরের উচ্চতা ৬৫ মিটার (২১৩ ফুট)। এই মন্দিরটি নির্মাণে রাজস্থানের বংশী পাহাড়ের বিখ্যাত বেলেপাথর ব্যবহার করা হয়েছে।
Advertisement
হিডকোর তত্ত্বাবধানে বাস্তব রূপ পেয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সেই পরিকল্পনা। পুরীর রথযাত্রার নিয়ম মেনে এই মন্দিরেও রথ বেরনোর আগে সোনার ঝাঁটা দিয়ে ঝাঁট দেওয়া হবে। দিঘা জগন্নাথ মন্দিরের সোনার ঝাঁটার জন্য মুখ্যমন্ত্রী নিজের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে পাঁচ লাখ টাকা দেওয়ার কথাও জানিয়েছিলেন।
দিঘা জগন্নাথ মন্দিরের জন্য মুখ্যসচিবের নেতৃত্বে ১৩ সদস্যের একটি ট্রাস্টি বোর্ড (অছি পরিষদ) তৈরি করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাতে রয়েছেন চারজন সনাতনী প্রতিনিধি, পুরীর মন্দিরের পাঁচ জন এবং চার জন স্থানীয় পুরোহিত। মুখ্যমন্ত্রীর আশা, বাংলার সমুদ্রতীরে অন্যতম তীর্থধাম হয়ে উঠবে দিঘার জগন্নাথ মন্দির।
ছবি— প্রশান্ত দাস
Advertisement



