টাপুর টুপুর
সবিতা রায় বিশ্বাস
টাপুর টুপুর সকাল দুপুর
বৃষ্টি মেয়ের পায়ের নূপুর
রুম ঝুমা ঝুম বাজছে
Advertisement
বৃষ্টি মেয়ের সোহাগ মায়ায়
কদম গাছের পাতার ছায়ায়
ফুলকুঁড়ি আজ সাজছে
Advertisement
মেঘেরা সব এদিক ওদিক
বাদল বাতাস যেদিক সেদিক
দল বেঁধে সব ছুটছে
ঘাসেরা সব হাত বাড়িয়ে
পাথর ফুঁড়ে মাথা নাড়িয়ে
খিলখিল হেসে উঠছে
খুকুটি বুকুটি কাগজ-তুলিতে
সোনাটা মনাটা রঙের বুলিতে
কত শত ছবি আঁকছে
খুদেটা দুঁদেটা উছল হাসিতে
বৃষ্টিরেণুতে ভাসিতে ভাসিতে
জলকণা গায়ে মাখছে |
কোজাগরীর রাত
অমিতাভ সরকার
চাঁদের সঙ্গে আজকে মেঘের—
আড়ি
আকাশগাঙে ইচ্ছে যে দিই—
পাড়ি
ওই সাগরে তারার দেশে—
বাড়ি
থাকতো যদি মজা হতো—
ভারী।
পূর্ণিমা তার জোছনা ঢালা—
আলো
দূর হোক মনের কলুষতা—
কালো
ঘরে ঘরে মাটির প্রদীপ—
জ্বালো
আজকের এ রাত সবার চেয়ে-ভালো।
লুকিয়ে ফোটা
চন্দ্রনাথ শেঠ
[অপু বলিল, কী ফুলের গন্ধ
বেরোচ্ছে, না দিদি?]
লুকিয়ে ফোটায় হাত ছিল কার
ধপধপে চুন? জাত ছিল কার
দেখল না কেউ লুকোছাপা—
বলোতো কে, কে বলতে পারো?
‘ছাতিমফুল; ভরসন্ধেয় গন্ধে পাগল হই!’
সবুজ পাতায় ভর করে যে
রাত্রিটুকুই গন্ধঘরে, ঘর করে যে
হেমন্ত আজ গন্ধ-বোকা ওই
হাজারখানি তারার থোকায়।
ভর করেছে সারারাত্রি সপ্তপর্ণী সই।
‘বাবা আমার, ছাতিমকাঠের স্লেট-পেনসিল কই…
—গন্ধ সমেত ছাতিম-ছবি ঘুমিয়েই আঁকব…’
আঁকব দেখো গন্ধে বিভোর সারাটি রাত
ফুলের উপর শিশির পড়ার সেই শুরুয়াৎ
মধু ঝরছে মধু; ইলশেগুঁড়ি রাত্রিভোর…
অপু বলল, ‘এই নে দিদি হারিয়ে যাওয়া নাকছাবি তোর…’
রঙিন হোলির হাট
উৎপলকুমার ধারা
শিমূল পলাশ রঙ মেখেছে
কোকিলরা গান গায়
দখিন বাতাস উঠছে নেচে
খুশির সীমানায়!
লাল আগুনের ফুলকি ছোটে
অশোক ফুলের গাছে
সজনে ফুলের হলুদ ঠোঁটে
পেরজাপতি নাচে!
কৃষ্ণচূড়ার রূপের গরব
রোদ্দুরে উজ্জ্বল
দেখতে যদি চাস তোরা সব
ভুবনতলায় চল!
তেপান্তরের শেষ বরাবর
নিত্য-নিরবধি
বসন্তটার রঙের খবর
দিচ্ছে কোপাই নদী!
রাখাল বাঁশির সুর ঝরেছে
বনসবুজের মাঠে
রঙের ফাগুন উঠছে নেচে
রঙিন হোলির হাটে!
Advertisement



