মাওবাদী নিয়ন্ত্রণে বড়সড় সাফল্য পেল ছত্তিশগড় পুলিশ। বিজাপুর জঙ্গলে নিরাপত্তা বাহিনী সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে নিহত হলেন ৩ মাওবাদী। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হয় প্রচুর বিস্ফোরক। দিন কয়েক আগে যুদ্ধবিরতি চেয়ে দ্বিতীয় চিঠি দিয়েছিল মাওবাদীরা। তার পর এটাই প্রথম এনকাউন্টার। চলতি বছরে নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযানে এই নিয়ে ১৩৮ জন মাওবাদী নিহত হল। শুধু বস্তার বিভাগের ৭ জেলায় মৃত্যু হয়েছে ১২২ জন মাওবাদীর।
বস্তার বিভাগের পুলিশ আধিকারিক সুন্দররাজ পি বলেন, ‘বীজাপুরের ভৈরামগড়ে মাওবাদীরা জড়ো হয়েছে বলে খবর ছিল বাহিনীর কাছে। ইন্দ্রাবতী নদীর তীরে অবস্থিত এই এলাকা মাওবাদীদের শক্ত ঘাঁটি হিসাবেই পরিচিত। শনিবার সকাল ৯টা নাগাদ ওই এলাকায় তল্লাশি অভিযান শুরু করে বাহিনী। বিজাপুর এবং দান্তেওয়ারার ডিস্ট্রিক্ট রিজার্ভ গার্ড এবং স্পেশাল টাস্ক ফোর্সের জওয়ানরদের সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে মৃত্যু হয় ৩ মাওবাদীর।’
Advertisement
২০২৬ সালের মার্চ মাসের মধ্যে মাওবাদমুক্ত ভারত গড়ার বার্তা দিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সেই লক্ষ্যে মাওবিরোধী অভিযান জোরদার হয়েছে বিভিন্ন রাজ্যে। ছত্তিশগড়ে বিজেপি সরকার ক্ষমতায় আসার পর সেই তৎপরতা আরও বেড়েছে। ২০২৪ সালে বস্তার অঞ্চলে নিরাপত্তাবাহিনীর অভিযানে মৃত্যু হয়েছে ২৮৭ জন মাওবাদীর। আত্মসমর্পণ করেন ৮৩৭ জন মাওবাদী।
Advertisement
২০২৫ সালের প্রথম কয়েক মাসে ছত্তিশগড়ে ১৩০ জন মাওবাদীর মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে শুরুমাত্র বস্তার রেঞ্জেই ১১০ জন মাওবাদীর মৃত্যু হয়েছে। ফলে বেশ চাপে রয়েছে মাওবাদীরা। তাদের তরফে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে, সরকার অভিযান বন্ধ করলে মাওবাদীরা শান্তি আলোচনায় বসবে। নতুন পুলিশ ক্যাম্প তৈরি না করার শর্ত দেয় মাওবাদীরা। বৃহস্পতিবার, ছত্তিসগড়ের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বিজয় শর্মাও মাওবাদীদের সঙ্গে শান্তি আলোচনার কথা বলেন। মাওবাদীদের মূল স্রোতে ফেরানোর জন্য সমস্ত রকম সহযোগিতার আশ্বাস দেন। এরই মধ্যে যৌথ বাহিনীর গুলিতে মৃত্যু হল তিন মাওবাদীর।
Advertisement



