বাংলার বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে স্থায়ী উপাচার্য নিয়োগের সময়সীমা বেঁধে দিল শীর্ষ আদালত। সুপ্রিম কোর্টের সময়সীমা সত্ত্বেও কেন উপাচার্য় নিয়োগ হয়নি, তা নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়েছেন রাজ্যপাল। আগামী দু’সপ্তাহের মধ্যে বাকি ১৭টি বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগের কাজ শেষ করতে হবে আচার্যকে।
বৃহস্পতিবার এজলাসে এই মামলার শুনানিতে রাজ্য সরকারের হয়ে সওয়াল করেন আইনজীবী জয়দীপ গুপ্ত। তিনি জানান, জানুয়ারি মাসেই কাজ শেষের কথা ছিল। কিন্তু উপাচার্য নিয়োগের কাজ সম্পন্ন হয়নি। এরপরই কড়া নির্দেশ দেন বিচারপতি। সময়সীমার মধ্যে কাজ সম্পন্ন না হলে বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে উপাচার্য নিয়োগের কাজ তাঁরাই শেষ করবেন বলে জানান বিচারপতি সূর্যকান্ত ও বিচারপতি এন কোটেশ্বর সিংয়ের বেঞ্চ।
Advertisement
ওয়েবকুপার বৈঠকে যাদবপুরে যে ঘটনা ঘটেছিল, তা নিয়ে উত্তাল হয়েছিল রাজ্য রাজনীতি। শুধু মাত্র ছাত্র নির্বাচনের দাবি নয়, স্থায়ী উপাচার্য নিয়োগের দাবি তুলেছিলেন পড়ুয়ারা। উপাচার্য নিয়োগের কাজ তো হয়নি বরং যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে সরিয়ে দিয়েছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। তাও আবার অবসরের চারদিন আগেই। শুধু যাদবপুর নয়, একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য না থাকায় সমস্যার সম্মুখীন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
Advertisement
উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে রাজ্যপাল মুখ্যমন্ত্রী দ্বন্দ্ব গড়িয়েছিল সুপ্রিম কোর্টে। সার্চ কমিটি গঠন করে দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। সেই সার্চ কমিটির সুপারিশ মুখ্যমন্ত্রী হয়ে রাজভবনে গেলেও এখনও ১৭টি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী উপাচার্যের নামে সিলমোহর পড়েনি। দুই সপ্তাহ বাদে এই মামলার শুনানিতে সবকিছু খতিয়ে দেখা হবে বলে জানান বিচারপতি।
Advertisement



