গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা নেতা বিমল গুরুং স্বস্তি পেলেননা শীর্ষ আদালতে, ২০১০ সালের মে মাসে দার্জিলিংয়ে সভা করতে এসে সকালে রাস্তার উপরে খুন হয়ে যান মদন তামাং।গত বছর মদন তামাং হত্যা কাণ্ডে কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি শুভেন্দু সামন্ত বিমল গুরুংকে মামলায় যুক্ত করার নির্দেশ দেন। সেই রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেন বিমল। সেই মামলা বুধবার সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি বেলা এম ত্রিবেদী ও বিচারপতি প্রসন্ন বি ভারালের ডিভিশন বেঞ্চে ওঠে। সেখানে বহাল রইল হাই কোর্টের নির্দেশ, মদন তামাং হত্যা মামলায় শীর্ষ আদালতেও স্বস্তি পেলেন না বিমল গুরুং হস্তক্ষেপ করল না সুপ্রিম কোর্ট। সুপ্রিম কোর্ট জানান “আপনি তো এখন জামিনেই আছেন, আগে ট্রায়াল কোর্টের মামলা শেষ হোক।”
মদন তামাং হত্যার বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন বিমল গুরুং এর আইনজীবি, তিনি জানান সিবিআই সিআইডি কোনো সংস্থার চার্টশিটে উল্লেখ করা হয়নি যে তার মক্কেল অভিযুক্ত। চার্জশিটে বলা হয়েছে গুরুংয়ের বিরুদ্ধে বিতর্কিত বক্তৃতা দেওয়ার অভিযোগ আছে।তিনি দাবি করেছেন ওই দিন দার্জিলিং না কালিম্পংয়ে ছিলেন বিমল।
Advertisement
সব শুনে হাই কোর্টের নির্দেশ উল্লেখ করে সুপ্রিম কোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ জানান আদালতের পর্যবেক্ষণে বিমলের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার যথেষ্ট সুযোগ আছে। তার বিরুদ্ধে হত্যায় ষড়যন্ত্রের কথা বলা হয়েছে। যার জন্য এলাকায় থাকার প্রয়োজন হয়না। ২০১০ সালের এই হত্যা মামলায় অন্যতম প্রধান অভিযুক্ত হিসেবে নিকল তামাংকে গ্রেপ্তার করা হয় কিন্তু তিনি কারাগার থেকে পালতে সক্ষম হন। সিবিআই যে চার্জশিট পেশ করে তাতে বিমল গুরুং-সহ ৪৮ জনের নাম ছিল। মামলায় ৪৮ জনের মধ্যে মাত্র একজনকে অব্যহতি দেওয়া নিয়েও প্রশ্ন ওঠে হাই কোর্টে। আদালতে সিবিআইয়ের আইনজীবী অনির্বাণ মিত্রর দাবি ছিল,এই ঘটনায় তার প্রত্যক্ষ্য যোগ আছে “তদন্তে বিমল গুরুংয়ের বিরুদ্ধে যথেষ্ট তথ্য-প্রমাণ উঠে এসেছে।
Advertisement
Advertisement



