পানিহাটি পুরসভার নতুন পুরপ্রধান হলেন সোমনাথ দে। নতুন দায়িত্ব পেয়েই পানিহাটির অমরাবতী মাঠ নিয়ে মুখ খোলেন সোমনাথ। তিনি বলেন, ‘অমরাবতী মাঠ পানিহাটির ফুসফুস। তাকে আমাদের রক্ষা করতে হবে।’ এর আগে পানিহাটি পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যানের দায়িত্ব সামলেছেন ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সোমনাথ দে।
পূর্ব ঘোষণা মতো নতুন পুরপ্রধানকে বেছে নিতে শুক্রবার দুপুর সাড়ে ১১টায় বৈঠকে বসেছিলেন পানিহাটির কাউন্সিলরেরা। যদিও সেই বৈঠকে যোগ দেননি সদ্য প্রাক্তন পুরপ্রধান মলয় রায়। তিনি জানান, শারীরিক অসুস্থতার কারণে তিনি পুরসভায় যেতে পারেননি। বৈঠকে উপস্থিত কাউন্সিলরেরা নয়া পুরপ্রধান হিসাবে সোমনাথ দে-র নামে সম্মতি জানান। পানিহাটির বিধায়ক তথা বিধানসভায় শাসকদলের মুখ্য সচেতক নির্মল ঘোষও বৈঠকে যোগ দেন। বৈঠকে ছিলেন মহকুমা শাসকের এক প্রতিনিধিও।
Advertisement
নতুন পুরপ্রধান বলেন, দলের নির্দেশ মেনে কাজ করব। বিরোধীরা কী বলল তা নিয়ে চিন্তিত নই। আমি আমার কাজ করব। অমরাবতী মাঠ পানিহাটির ফুসফুস। তাকে আমাদের রক্ষা করতে হবে। আগের পুর পারিষদদের নিয়েই দ্রুত কাজ শুরু করতে চান বলে জানিয়েছেন পানিহাটির নতুন পুরপ্রধান।
Advertisement
পানিহাটির অমরাবতী মাঠ নিয়ে বিতর্কের জেরে পদ হারান সদ্যপ্রাক্তন পুরপ্রধান মলয় রায়। মলয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছিল, তাঁর মদতে অমরাবতীর একটি বড় মাঠ বিক্রির চক্রান্ত হয়েছে। এই নিয়ে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি মাঠটিকে সরকারি স্তরে অধিগ্রহণ করার উদ্যোগ নেওয়ার পাশাপাশি পানিহাটির তৎকালীন পুরপ্রধান মলয় রায়কে পদত্যাগ করার নির্দেশ দেন।
পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম দু’দফায় মলয়কে ফোন করে সেই নির্দেশ জানিয়ে দেন। নানা টালবাহানার পর দলীয় নির্দেশ মেনে ১২ মার্চ দুই প্রতিনিধি মারফত এসডিও–র কাছে পদত্যাগপত্র জমা করেন তিনি। গত সোমবার মলয়ের পদত্যাগপত্র গৃহীত হয়। প্রসঙ্গত, অমরাবতীর মাঠ বিক্রির চক্রান্তের পাশাপাশি পুরসভার ১২৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে চাঁদা তোলার অভিযোগও ওঠে মলয়ের নেতৃত্বাধীন পুর-প্রশাসনের বিরুদ্ধে।
Advertisement



