• facebook
  • twitter
Wednesday, 17 December, 2025

‘জল ধরো জল ভরো’, মমতাকে কুর্নিশ ওয়াংচুকের

রাজ্যে সরকার পরিবর্তনের পর জল ধরো জল ভরো প্রকল্পের সূচনা করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সারা দেশের সঙ্গে বাংলাতেও বাড়ছিল তীব্র জলসঙ্কট। গ্রীষ্মে অসুবিধায় পড়েছিলেন রুক্ষ শুষ্ক অঞ্চলের বহু মানুষ।

ফাইল চিত্র

পরিবেশ নিয়ে তিনি বরাবরই সরব। সম্প্রতি হিমবাহের বরফ গলা ঠেকাতে তিনি চিঠি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে। তবে বাস্তবের র্যাঞ্চো কিন্তু বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কুর্নিশ জানিয়েছেন তাঁর পরিবেশ সচেতনতার জন্য। মুখ্যমত্রীকে প্রশংসায় ভরিয়ে দিয়ে লাদাখনিবাসী সোনম ওয়াংচুক জানিয়েছেন,’জল ধরো জল ভরো’ প্রকল্প একটি অত্যন্ত গুরুত্ত্বপূর্ণ কাজ। যা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজের হাতে শুরু করেছিলেন।

সম্প্রতি গুরগাঁওতে স্বাস্থ্য বিষয়ক এক অনুষ্ঠানে হাজির হয়েছিলেন পরিবেশ কর্মী সোনম ওয়াংচুক। সেখানেই তিনি জানিয়েছেন, দূষণ নিয়ন্ত্রণে ভালো কাজ করছে পশ্চিমবঙ্গ। তাঁর কথায়, ‘জল সংরক্ষণ খুবই গুরুত্বপূর্ণ কাজ। পশ্চিমবঙ্গ সরকার যেভাবে জল সংরক্ষণের কাজ শুরু করেছে তাদের অভিনন্দন।’

Advertisement

উল্লেখ্য, রাজ্যে সরকার পরিবর্তনের পর জল ধরো জল ভরো প্রকল্পের সূচনা করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সারা দেশের সঙ্গে বাংলাতেও বাড়ছিল তীব্র জলসঙ্কট। গ্রীষ্মে অসুবিধায় পড়েছিলেন রুক্ষ শুষ্ক অঞ্চলের বহু মানুষ।

Advertisement

২০১১-১২ অর্থবর্ষে মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেছিলেন, বৃষ্টির জল সঞ্চয় এবং তা সংরক্ষণের মধ্যে দিয়ে মাটির নিচের জলের ভাণ্ডারকে পূর্ণ করে তোলা হবে। যাতে তীব্র গ্রীষ্মে শুষ্ক অঞ্চলের মানুষ অসুবিধায় না পড়েন। এই প্রকল্পের মাধ্যমে যেসব এলাকায় ভূর্গভস্থ জলের স্তর নামছিল সেই কালনা-২, বর্ধমান-২, মঙ্গলকোট, মেমারি, পূর্বস্থলী সংকটজনক থেকে সেমি ক্রিটিকাল স্তরে উঠে এসেছে। সোনম ওয়াংচুক জানিয়েছেন, ‘এই সাফল্যের জন্য পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে কুর্নিশ। জল সংরক্ষণের পাশাপাশি অপ্রচলিত শক্তির ব্যবহার, পরিবেশ সংরক্ষণে কাজকে আরও জোরদার করতে হবে।’

সোনম ওয়াংচুকের আশঙ্কা, ‘তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হয়ে গিয়েছে।’ কেন এমনটা ভাবছেন সেই বিযয়েও ব্যাখ্যা দিয়েছেন তিনি। তার বক্তব্য, স্রেফ বায়ু দূষণের কারণে বিশ্বে প্রতি বছর ৭০ লক্ষ মানুষের মৃত্যু হচ্ছে। শুধুমাত্র ভারতে ২৫ লক্ষ মানুষ মারা যাচ্ছেন বায়ুদূষণের কারণে। সোনম ওয়াংচুকের কথায়, প্রথম দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধেও এত মানুষ মারা যায়নি। তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ কোনও দেশের মধ্যে নয়, পরিবেশের সঙ্গে মানুষের যুদ্ধ।

Advertisement