খাস কলকাতায় পিটিয়ে খুন করা হল এক অ্যাপ ক্যাব চালককে। গত বুধবার বিজয়গড় এলাকায় গাড়ি পার্কিং নিয়ে ওই ক্যাব চালকের সঙ্গে বচসা হয়েছিল কয়েকজন যুবকের। তারপরই তাঁকে বেধড়ক মারধর করা হয়। পরিবারের সদস্যরা তাঁকে যাদবপুরের কেপিসি হাসপাতালে ভর্তি করেছিলেন। শনিবার সকালে ওই অ্যাপ ক্যাব চালকের মৃত্যু হয়। এই ঘটনায় ইতিমধ্যে পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে যাদবপুর থানার পুলিশ। সূত্রের খবর, অনিচ্ছাকৃত খুনের ধারায় মামলা রুজু হয়েছে। এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করেনি পুলিশ। এই ঘটনার জেরে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, বুধবার রাতে বাড়ি ফেরার পথে ক্যাব পার্কিং নিয়ে স্থানীয় যুবকদের সঙ্গে বচসা বাঁধে জয়ন্ত সেন নামে ওই চালকের। গাড়ি পার্কিংয়ের সময় তাঁদের স্কুটিতে ধাক্কা লাগার কারণে ঝামেলা হয়। সেই সময়ে শুধু বচসা হলেও অভিযোগ, পরে ওই ক্যাব চালককে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যান যুবকেরা। তারপরই তাঁকে বেধড়ক মারধর করা হয়। মাটিতে পড়ে যান জয়ন্ত। তড়িঘড়ি তাঁকে উদ্ধার করে নিকটবর্তী কেপিসি হাসপাতালে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তারপর থেকে সেখানেই চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি।
Advertisement
এলাকার বাসিন্দারা জানাচ্ছেন, জয়ন্ত সেন নামে বছর ৩৬-এর ওই যুবক ক্যাব চালাতেন। বিজয়গড়েই থাকতেন তিনি। রাতে ফিরে বাড়ি ঢোকার আগে গাড়িটি রাখতেন লালকার মাঠের কাছে। গত বুধবারও প্রতিদিনের মতো সেখানেই গাড়িটি রেখেছিলেন। সম্ভবত তাঁর গাড়ির ধাক্কাতেই স্কুটিটি পড়ে যায়। এর জেরে কয়েকজন যুবক বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে জয়ন্তকে মারধর করেন। জয়ন্ত প্রথমে ক্ষতিপূরণ দিতে রাজি হন, তা সত্ত্বেও তাঁকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। বছর চারেক আগে বিয়ে হয় জয়ন্তর। তাঁর দেড় বছরের সন্তান রয়েছে।
Advertisement
জয়ন্তর পরিবারের দাবি, অভিযুক্তরা মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন। মুখে কাপড় বেঁধে মারধর করা হয় জয়ন্তকে, যাতে চিৎকার করতে না পারেন তিনি। এদিকে এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত যাদবপুর থানার পুলিশ কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি। ৯৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর বসুন্ধরা গোস্বামীও পুলিশের ভূমিকায় অসন্তুষ্ট। তিনি বলেন, ‘পুলিশ বারবার আশ্বাস দিচ্ছে, কিন্তু এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি।’
Advertisement



