• facebook
  • twitter
Friday, 5 December, 2025

অযোধ্যার রাম মন্দিরে নাশকতার ছক, গ্রেপ্তার এক সন্দেহভাজন জঙ্গি

গুজরাট ও হরিয়ানা এসটিএফের যৌথবাহিনী মন্দিরে হামলার ষড়যন্ত্রে যুক্ত থাকার অভিযোগে ফরিদাবাদ থেকে সন্দেহভাজন এক জঙ্গিকে গ্রেপ্তার করেছে।

প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র

অযোধ্যার রামমন্দিরে নাশকতার ছক ভেস্তে দিল পুলিশ। গুজরাট ও হরিয়ানা এসটিএফের যৌথবাহিনী মন্দিরে হামলার ষড়যন্ত্রে যুক্ত থাকার অভিযোগে ফরিদাবাদ থেকে সন্দেহভাজন এক জঙ্গিকে গ্রেপ্তার করেছে। পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃতের নাম আবদুল রহমান। সে মিল্কিপুরের বাসিন্দা। তার সঙ্গে থাকা কাছ থেকে দুটি হ্যান্ড গ্রেনেড বাজেয়াপ্ত করেছেন তদন্তকারীরা। আবদুল রহমান পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই-এর সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখত বলে দাবি করেছে পুলিশ। এছাড়া আইএস জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গেও যুক্ত ছিল সে।

ফরিদাবাদ স্পেশাল টাস্ক ফোর্স এবং গুজরাট অ্যান্টি টেররিজম স্কোয়াডের সূত্রের দাবি, দশম শ্রেণি পাশ আবদুল ফৈজাবাদে একটি মাংসের দোকান চালায়। দিনের বাকি সময় অটোচালক হিসেবেও কাজ করত সে। জিজ্ঞাসাবাদ চলাকালীন তদন্তকারীদের অভিযুক্ত জানিয়েছে, অযোধ্যায় রামমন্দিরে ও গুজরাটের সোমনাথ মন্দিরে বিস্ফোরণ ঘটানোর ছক ছিল তার। এসটিএফের পাশাপাশি অভিযুক্তকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে এনআইএ ও আইবি।

Advertisement

পুলিশের দাবি, ১০ মাস আগে আইএস-এর ইসলামিক স্টেট খুরাসান প্রোভিন্স (আইএসকেপি) জঙ্গি সংগঠনে যোগ দেয় আবদুল। সেখানে অনলাইনে ট্রেনিংও হয় তার। সেখান থেকে তাকে রামমন্দিরে বিস্ফোরণের দায়িত্ব দেওয়া হয়। অভিযুক্তের মোবাইল ফোন থেকে দেশের একাধিক ধর্মীয় স্থানের ছবি ও ভিডিও পেয়েছে পুলিশ। রাম মন্দিরে বিস্ফোরণ ঘটাবার জন্য একাধিকবার সেখানে গিয়ে রেইকিও করে অভিযুক্ত।

Advertisement

প্রায়শই ফৈজাবাদ থেকে ফরিদাবাদ ট্রেনেই যাতায়াত করত ধৃত। এই যাত্রাপথেই হ্যান্ডেলারের থেকে হ্যান্ড গ্রেনেড সংগ্রহ করে সে। ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গুজরাটে নিয়ে যাওয়া হয়েছে । এই ঘটনায় আরও কেউ যুক্ত আছে কী না খোঁজ চালাচ্ছেন তদন্তকারীরা। প্রাথমিক তদন্তে নিশ্চিত বড় হামলার ছক ছিল এই জঙ্গির। অভিযুক্তের বাড়িতেও তল্লাশি চালানো হচ্ছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে।

Advertisement