ফের রয়্যাল বেঙ্গল আতঙ্ক পুরুলিয়ায়। রবিবার সকালে পুরুলিয়ার মানবাজার ২ নম্বর ব্লকের একের পর এক গ্রাম লাগোয়া এলাকায় অজানা জন্তুর পায়ের ছাপ দেখতে পান স্থানীয়েরা। এই ঘটনায় রীতিমতো আতঙ্কিত হয়ে পড়েন বাসিন্দারা। খবর দেওয়া হয় বন দপ্তরে। বনকর্মীরা পায়ের ছাপগুলি খুঁটিয়ে পরীক্ষা করেন। বনকর্মীরা একপ্রকার নিশ্চিত যে, পায়ের ছাপগুলি বাঘেরই। উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার আগে এভাবে বাঘের আনাগোনায় বেশ আতঙ্কিত এলাকাবাসী।
বনকর্মীদের অনুমান, পুরুলিয়ার রাইকা ও ভাঁড়ারি পাহাড় সংলগ্ন এলাকাতেই বাঘটি রয়েছে। রবিবার সকালে বান্দোয়ান ও বোরো বনাঞ্চল এলাকার ভাড়ারি, নেকড়া, আঁকরো, বড়কদম, হাতিরামগোড়া-সহ একাধিক জঙ্গলে বাঘের পায়ের ছাপ দেখা গিয়েছে। এদিকে বাঘের পায়ের ছাপ মিলতেই তৎপর হয়েছেন বনকর্মীরা। জঙ্গলে বসানো হয়েছে ট্র্যাপ ক্যামেরা। পাহাড়-জঙ্গল সংলগ্ন গ্রামের মানুষজনকে জঙ্গলে প্রবেশ করতে নিষেধ করা হয়েছে। বন দপ্তর এলাকার মানুষকে সতর্ক থাকতে বলেছে।
Advertisement
কয়েক সপ্তাহ ধরে দাপিয়ে বেড়ানোর পর গত বছর ডিসেম্বরের শেষে খাঁচাবন্দি হয়ে ওড়িশায় ফিরে গিয়েছিল বাঘিনি জিনাত। কিন্তু জিনাত বন্দি হওয়ার পরপরই ঝাড়খণ্ডের দলমা থেকে একটি বাঘ সীমানা পেরিয়ে এ রাজ্যে ঢুকে পড়েছিল। সেই বাঘটি যাতায়াত লেগেই ছিল ঝাড়খণ্ড ও বাংলার মধ্যে। বনকর্মীদের একাংশ আবার বাঘটিকে ‘জিনাতের প্রেমিক’ বলে অভিহিত করেন। সেই বাঘটিই আবার ফিরে এসেছে বলে মনে করছেন বনকর্মীদের একাংশ।
Advertisement
৩১ ডিসেম্বর থেকে কখনও ঝাড়খণ্ডে, কখনও বাংলার জঙ্গলে চরকি পাক খাচ্ছে রেডিওকলারহীন এই রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার। এক জেলা থেকে অন্য জেলা, এক জঙ্গল থেকে আরেক জঙ্গলে ঘুরে বেড়াচ্ছে বাঘটি। বনকর্মীদের একাংশের দাবি, ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া ও পুরুলিয়ার জঙ্গলমহলকে নিরাপদ আস্তানা বলেই মনে করছে বাঘটি। ওই বনাঞ্চলে পর্যাপ্ত খাবার মেলায় মানুষের ক্ষতি করছে না বাঘটি।
Advertisement



