আইএসএল ফুটবলে ইস্টবেঙ্গলের অবস্থান একেবারেই ভালো নয়। যেভাবে পয়েন্ট হারাতে হচ্ছে লাল-হলুদ শিবিরকে, সেখানে প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে, তাহলে কি তারা প্রথম ছয়ের তালিকায় নাম লেখাতে পারবে না? তবে এখন অঙ্ক রয়েছে প্রচুর। বিশেষ করে অন্য দলের ফলাফলের উপর নির্ভর করতে হবে ইস্টবেঙ্গলকে। তারপরে একের পর এক ফুটবলার চোটের কারণে মাঠের বাইরে। আবার কার্ডের সমস্যায় প্রথম একাদশ দল গঠন করার ক্ষেত্রে কঠিন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে কোচ অস্কার ব্রুজোর সামনে। তবুও তিনি হাল ছাড়তে রাজি নন। তাঁর অভিমত, শেষ খেলা পর্যন্ত লড়াই করে যেতে হবে।
এদিকে আইএসএল ফুটবল চলাকালীন ইস্টবেঙ্গল শিবিরে যোগ দিতে চলেছেন একজন বিদেশি ফুটবলার। অবশ্য তিনি ভারতের মাটিতে এর আগেও খেলে গেছেন কেরল ব্লাস্টার্সের হয়ে। কেরলের ওই ফুটবলার রাফায়েল মেসি বাউলি যোগ দিচ্ছেন লাল-হলুদ ব্রিগেডে। চেন্নাই এফসি’র বিরুদ্ধে ইস্টবেঙ্গল মাঠে নামার আগেই খুব সম্ভবত দলের সঙ্গে যোগ দেবেন বাউলি। তবে নতুন বিদেশি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
চোটের কারণে যেভাবে বিদেশি ফুটবলাররা ছিটকে যাচ্ছেন, তা মানা সম্ভব হচ্ছে না। বিশেষ করে ডিফেন্ডার হিজাজি মাহের চলতি মরশুমে আর খেলতে পারবেন না, তা বলে দেওয়া যায়। সেই কারণে একজন বিদেশি ফুটবলারের প্রয়োজন রয়েছে। হয়তো সেই কারণেই বাউলিকে সই করানো হচ্ছে।
Advertisement
এখানে উল্লেখ করা যেতে পারে, বাউলি কেরলের হয়ে ২০১৯-২০ মরসুমে ১৭টি ম্যাচ খেলেছেন। গোল করেছেন আটটি। তবে তিনি একটু মাথা গরম করে খেলেন বলে রেফারির নজরে আসেন। পাঁচটি হলুদ কার্ডও দেখেছিলেন কেরলের হয়ে খেলার সময়। কেরল ছেড়ে যাওয়ার পরে চিনের বিভিন্ন ক্লাবে খেলেছেন তিনি। শেষ বার খেলেছেন শিজিয়াজুয়াং গোংফু ক্লাবে। সেখানে ১৮টি ম্যাচে ন’টি গোল রয়েছে। শোনা গিয়েছে, মরসুমের শেষ ম্যাচ পর্যন্ত ইস্টবেঙ্গল তাঁর সঙ্গে চুক্তি হয়েছে।
Advertisement
চলতি মরসুমে লাগাতার চোট সমস্যায় ভুগছে ইস্টবেঙ্গল। প্রায় প্রতি ম্যাচেই কোনও না কোনও ফুটবলার চোট পাচ্ছেন। সীমিত সামর্থ্য নিয়েই দলকে টানছেন অস্কার ব্রুজো। তিনি কোচ হয়ে আসার পর শোনা যাচ্ছিল ক্লেটন সিলভা এবং হিজাজি মাহেরকে বিদায় জানানো হতে পারে। গত কয়েকটি ম্যাচে ভাল খেললেও বাউলিকে ক্লেটনের পরিবর্ত হিসাবেই নেওয়া হচ্ছে বলে শোনা গিয়েছে।
ইস্টবেঙ্গলের সমস্যা আপাতত রক্ষণ। সেই জায়গায় কোনও ফুটবলার না নিয়ে কেন আক্রমণ ভাগে একজন সেন্টার ফরোয়ার্ড নেওয়া হল তা নিয়ে কথা উঠেছে। হিজাজি বাকি মরসুমে খেলতেই পারবেন না। রক্ষণে তেমন কোনও ফুটবলারও নেই যাঁদের নিয়ে কাজ চালানো যেতে পারে। সূত্রের খবর, ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি নতুন ডিফেন্ডার আসতে পারে ইস্টবেঙ্গলে।
কেরলে যে ছন্দ গত মরসুমে দেখিয়েছিলেন, এ বার তার ধারেকাছেও নেই দিমিত্রিয়স দিয়ামানতাকোস। তবু দরকারের সময় তিনি গোল করতে পারেন। ছিটকে যাওয়া মাদিহ তালালের জায়গায় যে রিচার্ড সেলিসকে নেওয়া হয়েছে তিনিও আক্রমণ ভাগের খেলোয়াড়। আরও একজন আক্রমণ ভাগের খেলোয়াড় আসছেন ইস্টবেঙ্গলে। ফলে প্রথম একাদশে কোন বিদেশি ফুটবলারের জায়গা হবে, তা নিয়ে কেউই স্পষ্ট ধারণা দিচ্ছেন না। সেই কারণেই রক্ষণভাগের ফুটবলারের পরিবর্তে কেন আক্রমণভাগের খেলোয়াড় নিয়ে দলে ভিড় করা হচ্ছে, এর উত্তর খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।
Advertisement



