ভারতীয় ফুটবলে কালো হরিণ বলতে যে নামটা ভেসে ওঠে তিনি হলেন আইএম বিজয়ন। প্রথম পদ্মশ্রী সম্মানে সম্মানিত হয়েছিলেন বাংলার গোষ্ঠ পাল। তারপরেও বাংলা থেকে পদ্মশ্রী হন শৈলেন মান্না, প্রদীপ ব্যানার্জি, চুনী গোস্বামী এবাদেও পদ্মশ্রী হয়েছেন বাইচুং ভুটিয়া, ব্রহ্মানন্দ ও সুনীল ছেত্রী। আর এবারে সাধারণতন্ত্র দিবসে পদ্মশ্রী সম্মানে সম্মানিত হলেন কেরেলর আইএম বিজয়ন।
বিজয়ন কলকাতায় মোহনবাগান ক্লাবের হয়ে বেশ কিছুদিন খেলেছেন। কেরলের হয়ে জাতীয় ফুটবলে নজর কাড়ার পরে তাঁর ডাক আসে ভারতীয় দলে। তিনি এর আগে অর্জুন পুরস্কারও পেয়েছেন। ৫৫ বছর বয়সী এই ফুটবলার পদ্মশ্রী সম্মানে সম্মানিত হয়ে দারুনভাবে আপ্লুত। তিনি বলেন এই পুরস্কার আমার জন্যে নয়। তাই এই পুরস্কারকে উৎসর্গ করেছি ফুটবল প্রেমীদের জন্য। ফুটবল প্রেমীরাই আমাকে পরিচিতি দিয়েছেন। আমার খেলা দেখতে ছুঁটে আসতেন তাঁরা। ফুটবল প্রেমীরাই ছিলেন আমোর কাছে সবচেয়ে বেশি প্রেরণা।
Advertisement
তিনি আরও বলেন, এই পুরস্কার আগামী দিনে তরুণ প্রজন্মকে ফুটবল খেলতে উৎসাহিত করবে। দীর্ঘদিন দেশের হয়ে খেলার পর এই স্বীকৃতি পেয়ে অভিভূত। আমার এই পুরস্কার প্রাপ্তি ভারতীয় ফুটবলকে কতটা এগিয়ে নিয়ে যাবে তা আমি বলতে পারব না।
Advertisement
৫৫ বছর বয়সি এই প্রাক্তন কিংবদন্তি ফুটবলার বর্তমানে মালাবার পুলিশে কর্মরত। বিজয়ন কেরালা পুলিশ ফুটবল দলের ডিরেক্টর হিসেবে কাজ করছেন। একই সঙ্গে তিনি ফেডারেশনের টেকনিক্যাল কমিটির চিফ। এবারে তিনি আবেগের সেঙ্গ বলেন, আমি বলতে পারব না আমি কত বড় ফুটবলার ছিলাম। কিন্তু এটা জানি সারা ফুটবল জীবনে আমি প্রচুর মানুষের ভালোবাসা ও সম্মান পেয়েছি।
১৯৯১ সালে জাতীয় দলের হয়ে বিজয়ন প্রথম খেলেন। টানা ১২ বছর তিনি খেলেছেন জাতীয় দলের জার্সি গায়ে। ২০০০ থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত তিনি জাতীয় দলের অধিনায়ক ছিলেন। ৮৮টি ম্যাচে তাঁর গোল রয়েছে ৩৯টি। বিজয়ন ১৯৯৯ সালে সাফ গেমসে ভূটানের বিরুদ্ধে মাত্র ১২ সেকেন্ডে গোল করে আন্তর্জাতিক স্তরে নাম লিখিয়ে ফেলেছিলেন দ্রুততম গোলদাতা হিসাবে। কেরলের কোনও ফুটবলার হিসাবে প্রথম অর্জুন পুরস্কার পান বিজয়ন। এ বাদে বর্ষসেরা ফুটবলার হিসেবে স্বীকৃতি পান ১৯৯৩, ১৯৯৭ ও ১৯৯৯ সালে। তিনি নেহেরু কাপ, প্রি-ওয়ার্ল্ড কাপ, প্রি-অলিম্পিক, সাফ কাপ সহ অন্যান্য আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট দক্ষতার সঙ্গে খেলেছেন।
ফুটবলার বিজয়নের পাশে পদ্মশ্রী হলেন ক্রিকেটার রবিচন্দ্রন অশ্বিন ও তারকা হকি খেলোয়াড় পি আর শ্রীজেস। এবাদে পদ্মশ্রী হয়েছেন প্যারা অলিম্পিক গেমসে সোনাজয়ী অ্যাথলিট হরবিন্দর সিং ও কুস্তিগীর কোচ সত্যপাল সিং।
Advertisement



