এবছর পদ্মশ্রী পুরস্কার পেয়েছেন যাঁরা, সেই সমস্ত ব্যক্তিত্বদের সম্মাননা জানাতে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ‘দ্য বেঙ্গল’ সংস্থা, শহরের এক পাঁচতারা হোটেলে। পদ্মশ্রী প্রাপকদের মধ্যে ছিলেন বিশিষ্ট নৃত্যশিল্পী মমতা শংকর, সরোদ শিল্পী তেজেন্দ্র নারায়ন মজুমদার, বাদ্যশিল্পী গোকুল চন্দ্র দাস এবং নির্মান শিল্প সামগ্রী প্রস্তুতকারক সংস্থার আইকন সজ্জন ভজঙ্কা। সংস্থার পক্ষ থেকে সম্মাননা প্রদান করেন চেয়ারম্যান এইচ এম বাঙ্গুর, প্রেসিডেন্ট যোগেন চৌধুরী এবং শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়।
সম্মান গ্রহণকাকীরা তাঁদের উচ্ছ্বাস ব্যক্ত করেন। মমতা শঙ্কর বলেন, ‘আমি নিজে কোনওদিন আশা করিনি এই সম্মান পাব। পুরস্কার পাব ভেবে কখনও কাজ করিনি। আমি শুধু নিজের কাজ করে গেছি। এর আগে সংগীত নাটক অ্যাকাডেমি পুরস্কার পেয়েছি, এবার পদ্মশ্রী পেলাম। এগুলোই হয়তো ভগবানের আশীর্বাদ।’
শিল্পী গোকুল চন্দ্র দাসের কথায়, ‘দ্য বেঙ্গল’-এর আমন্ত্রণে আজকের এই অনুষ্ঠানে আসতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করছি। বাংলার ট্র্যাডিশনাল ফোক ইন্সট্রুমেন্ট ঢাক। আমি দুস্থ পরিবারের মহিলাদের এই বাদ্যযন্ত্রের প্রশিক্ষণ দিয়েছি, তাঁদেরকে স্বাবলম্বী করতে পেরেছি, এটাই আমার সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি।’
তেজেন্দ্র নারায়ণ মজুমদারের কথায়, ‘বাংলার ক্লাসিক্যাল ফ্রেটারনিটির প্রতিনিধি হিসেবে পদ্মশ্রী পুরস্কার লাভ করে আমি খুব গর্ব অনুভব করছি। আমি যে পুরস্কার পাব কখনও ভাবিনি। এই প্রাপ্তির নেপথ্যে রয়েছে আমার বাবা-মা আমার গুরুদের আশীর্বাদ। সংগীতের শিক্ষার্থী হিসেবে আমি যে-কাজ করে চলেছি, সেটা যেন আরও ভালো করে করতে পারি, এটাই চাই।’
সজ্জন ভজঙ্কা বলেন, ‘দ্য বেঙ্গল’-এর কাছে আমি কৃতজ্ঞ সম্মাননার জন্য। ট্রেডিং-এর মতো একটি বিরল ক্যাটাগরিতে আমি পদ্মশ্রী সম্মান পেয়েছি, এই সম্মান আমার কাছে বিশাল একটা প্রাপ্তি।’
‘দ্য বেঙ্গল’-এর সভাপতি যোগেন চৌধুরীর কথায়, ‘যাঁরা পদ্মশ্রী পেয়েছেন তাঁরা সকলেই নিজস্ব ক্ষেত্রে প্রথিতযশা। এই প্রাপ্তি তাঁদের মতো আমাদের কাছেও আনন্দের।’