• facebook
  • twitter
Friday, 5 December, 2025

কর্ণাটকে মুখ্যমন্ত্রী হতে পারেন শিবকুমার, আভাস সিদ্দারামাইয়ার

কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়ার বিরুদ্ধে এখন বিস্তর দুর্নীতির অভিযোগ

ফাইল চিত্র

কর্ণাটক সরকারের সম্ভাব্য নেতৃত্ব বদলের জল্পনা-কল্পনা ক্রমেই বাড়ছিল। সেই জল্পনাকে প্রথমবার উসকে দিলেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া। মুখ্যমন্ত্রী এবং উপ-মুখ্যমন্ত্রীর মধ্যে ক্ষমতা ভাগাভাগির কথা স্বীকার করে নিয়ে তিনি বলেন, সরকারে যেকোন পরিবর্তনের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত কংগ্রেস হাইকমা্ন্ডের উপর নির্ভর করে। অনেকদিন থেকেই মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে সরে যাওয়ার সম্ভাবনা বারে বারে অস্বীকার করেছেন সিদ্দারামাইয়া। অবশেষে তিনি আভাস দিয়েছেন উপ-মুখ্যমন্ত্রী ডিকে শিবকুমার মুখ্যমন্ত্রী হতে পারেন।

২০২২-এর মে মাসে কংগ্রেসকে ক্ষমতায় ফেরানোর ক্ষেত্রে মূল কান্ডারি ছিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি ডিকে শিবকুমার। শুধু কর্নাটক নয়, অন্য রাজ্যেও দলের সঙ্কট দূর করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছেন শিবকুমার। সেই কারণেই তাঁকে মুখ্যমন্ত্রী করতে চেয়েছিলেন রাহুল গান্ধী। কিন্তু সোনিয়া গান্ধী প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা প্রবীণ রাজনীতিবিদ সিদ্দারামাইয়ার নামেই সিলমোহর দেন। তখনই রাহুল গান্ধীর পরামর্শে মৌখিকভাবে সিদ্ধান্ত হয়, আড়াই বছর পর মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে সরে যাবেন সিদ্দারামাইয়া। সেই শর্ত মেনেই উপ-মুখ্যমন্ত্রী হতে রাজি হন শিবকুমার।

Advertisement

কিন্তু শপথ নেওয়ার পরই ভোল বদলে ফেলেন প্রবীণ নেতা সিদ্দারামাইয়া।এই অর্দ্ধেক সময়কালের রাজ্যপাট চালানোর মৌখিক সিদ্ধান্তের কথা পুরোপুরি অস্বীকার করেন তিনি। আর তাতেই চটে যান রাহুল গান্ধী।

Advertisement

কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়ার বিরুদ্ধে এখন বিস্তর দুর্নীতির অভিযোগ। মহীশূর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের জমি বন্টন মামলায় স্ত্রী ও আত্মীয়দের বিশেষ সুবিধে পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। হাইকোর্টের নির্দেশে তদন্তের মুখোমুখি হতে হয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর স্ত্রীকে। মুখ্যমন্ত্রীকেও যে কোনও দিন নোটিস ধরাতে পারে রাজ্য লোকায়ুক্ত।

এই পরিস্থিতিতে মুখ্যমন্ত্রীর সমালোচনায় সরব হয়েছে কংগ্রেসের একাংশ। রাহুল গান্ধীও চাইছেন নৈতিক দায় নিয়ে পদ থেকে সরে দাঁড়ান সিদ্দারামাইয়া। কিন্তু দলকে সিদ্দারামাইয়া বুঝিয়েছিলেন যে, আদালতে তিনি সব বুঝে নেবেন।তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ টিকবে না। যদিও তদন্তের নির্দেশ বহাল রেখেছে হাইকোর্ট।

স্বাভাবিকভাবেই নিজের পরিস্থিতির কথা বিবেচনা করে এথন সিদ্দারামাইয়া নিজেই ৩০ মাসের ভাগাভাগি সরকার চালানোর ফরমুলার কথা বলছেন। দুর্নীতির অভিযোগকে পাশ কাটাতে এখন মত বদলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর অনুগামীরা কিছুদিন ধরে প্রচার করে আসছিলেন যে, স্বেচ্ছায় সরে যাচ্ছেন সিদ্দারামাইয়া। মুখ্যমন্ত্রী নিজেও বৃহস্পতিবার বলেছেন, মুখ্যমন্ত্রিত্ব ছেড়ে তিনি দলের কাজে মন দিতে চান। ডিকে শিবকুমার তাঁর পদে আসবেন এমন আভাসও দিয়েছেন তিনি।

অন্যদিকে শিবকুমার সম্প্রতি বলেছেন যে, দলের হাইকমান্ডের নির্দেশ মেনে তিনি তাঁর দায়িত্ব পালন করবেন। যদিও শিবকুমার ছাড়াও মুখ্যমন্ত্রী পদের অন্য দাবিদারও আছেন।

Advertisement