সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফিতে গ্রুপের শেষ ম্যাচে রাজস্থানকে ৭ উইকেটে হারিয়ে বাংলা নকআউট পর্যায়ে পৌঁছে গেল। বাংলার এই জয়ের পিছনে সবচেয়ে বড় ভূমিকা নিয়েছিলেন, চোট থেকে ফিরে আসা ভারতীয় দলের দ্রুতগামী বোলার মহম্মদ শামি। শেষ তিনটি ম্যাচে বাংলার মহম্মদ শামি বোলিংয়ে সবার নজর কেড়ে নিয়েছেন। অনেকেই শামির এই সাফল্যে বলতে শুরু করেছেন, ভারতীয় দলে এখনই মহম্মদ শামিকে ডাকা উচিত। এমনও হতে পারে, শেষের দিকে অস্ট্রেলিয়ায় সফররত ভারতীয় দলে ডাক পেতে পারেন শামি। রাজকোটে বৃহস্পতিবার যেভাবে মহম্মদ শামি বোলিংয়ে আগুনের ফুলকি ছড়ালেন, তাতে রাজস্থানের ব্যাটসম্যানরা দাঁড়াতেই পারেননি।
শামির বোলিংয়ের পাশাপাশি বাংলার অভিষেক পোড়েল ঝোড়ো ব্যাটিং করে অর্ধ শতরান করে জয়কে সহজ করে দেন। রাজস্থান দল ১৫৩ রান করে ৯ উইকেটের বিনিময়ে। রাজস্থানের হয়ে কার্তিক শর্মা ২৯ বলে ৪৬ ও মহিপাল রোমরোর ব্যাট থেকে এসেছে ৪৫ রান। বাংলার মহম্মদ শামি ৪ ওভারে মাত্র ২৬ রান দিয়ে তিনটি উইকেট তুলে নেন। শাহবাজ আহমেদ ও শায়ন ঘোষ দু’টি করে উইকেট পেয়েছেন।
Advertisement
এখানে উল্লেখ করা যেতে পারে, গত ম্যাচে বিহারের বিরুদ্ধে মহম্মদ শামি মাত্র একটি উইকেট পেয়েছিলেন। অবশ্য তার আগে মেঘালয়ের বিরুদ্ধে কোনও উইকেট পাননি। তিনি যে ধীরে ধীরে ফর্মে ফিরে আসছেন, তা বলতেই পারা যায়। এই ম্যাচের আগে বাংলা ও রাজস্থানের ২০ করে পয়েন্ট ছিল। স্বাভাবিকভাবে এই ম্যাচটা দু’দলের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়ায়। টসে জিতে বাংলার অধিনায়ক রাজস্থানকে ব্যাট করতে পাঠায়। বাংলা ১৫৪ রানের লক্ষ্যমাত্রায় খেলতে নেমে ১৮.৩ ওভারে ৩ উইকেটে তা টপকে যায় এবং জয় তুলে নেয়।
Advertisement
অভিষেক পোড়েল৩০ বলে অর্ধ শতরান করেন। শেষপর্যন্ত তিনি ৪৭ বলে ৭৮ রানের ইনিংস খেলেন। এই রান করার ফাঁকেই তিনি সাতটি চার ও চারটি ছক্কা মেরেছেন। অধিনায়ক সুদীপ ঘরামি ৪৫ বলে ৫০ রান করে অপরাজিত থাকেন। শাহবাজ আহমেদ ১২ বলে ১৮ রান করেন। বাংলার এই জয়ের ফলে সাত ম্যাচে ২৪ পয়েন্ট সংগ্রহ করল। এই পারফরম্যান্সের ফলে সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফিতে নকআউট পর্বে খেলার জন্য ছাড়পত্র পেয়ে গেল বাংলা। ম্যাচের সেরা হয়েছেন অভিষেক পোড়েল।
Advertisement



